Home জাতীয় জটিল জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে অন্যতম বাধা

জটিল জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে অন্যতম বাধা

44

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে ও জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত উদ্যোগসমূহে উন্নয়ন অংশীদারদের আরো শক্তিশালী ও সহায়ক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত এবং জটিল জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। গতকাল রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন দেশসমূহকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সহায়তা প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশসমূহ প্রদান করেছিল তা পূরণের ওপর কর্মশালায় জোর দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ‘আঙ্কটাড এলডিসি রিপোর্ট ২০২২: ইমপ্লিকেশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েইন লুইস। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান। উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা (আঙ্কটাড) প্রতি বছর বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে থাকে। গত ৩ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে, তা সত্ত্বেও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ ব্যাপকভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
কর্মশালায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, উন্নয়ন অংশীদারগণ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন উভয় খাতেই সমান সমান গুরুত্ব প্রদান করা উচিত। তিনি বাংলাদেশ তথা স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত উদ্যোগসমূহে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। ইআরডি সচিব শরিফা খান তার উপস্থাপনায় অপর্যাপ্ত এবং জটিল জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সংক্রান্ত খাতের তুলনায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন- সংক্রান্ত খাতে অর্থায়নে বেশি আগ্রহী।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েইন লিউইস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, যদিও কার্বন নিঃসারণ হ্রাস বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য কঠিন, তা সত্ত্বেও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ কার্বন নিঃসারণ হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, আঙ্কটাডের এলডিসি সেকশনের প্রধান ড. রলফ ট্রেগার এবং বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ আশরাফ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় বক্তাগণ জলবায়ু তহবিল হতে অর্থায়ন প্রাপ্তির প্রক্রিয়া আরো সহজতর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত প্রযুক্তি আরো সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার আহ্বান জানান।
ইত্তেফাক