Home সারাদেশ চড়ূই পাখির মেলা বসেছে কুয়াকাটার ইলিশ পার্কে

চড়ূই পাখির মেলা বসেছে কুয়াকাটার ইলিশ পার্কে

20

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। গাছের মগডাল থেকে নিচ পর্যন্ত সবত্রই চড়–ই পাখি বিচরন। এমন দৃশ্য পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার ইলিশ পার্কে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই দলবেঁধে উড়ে এসে বসে গাছের ডালপালায়। কিচিরমিচর শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পার্ক এলাকা। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভরে ওঠে চড়–ই পাখিতে। দেখলে মনে হয় এখানে পাখির মেলা বসেছে।
জানা গেছে, পর্যটকদের বিনোদনের জন্যব্যাক্তি উদ্যোগে ২০১৫ সালে নির্মান করা হয় ইলিশ পার্ক নামের একটি পর্যটন স্পট। এসময় এ পার্কের ভিতরেই রোপন করা হয় বকুল গাছ সহ বেশ কিছু ফুল ও ফলের গাছ। গত দুই বছর ধরে এসব গাছে চড়–ই পাখির আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে। আলো আঁধারে কিচিরমিচর শব্দ আর চড়–ই পাখির নাচানাচি দেখে মুগ্ধ পর্যটকরাও।
এদিকে এসব পাখি যাতে এখান থেকে চলে না যায় সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ কোন প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্য সার্বক্ষনিক খেয়াল রাখছেন কুয়াকাটা ইলিশ পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পর্যটক মো.হায়দার বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসে ইলিশ পার্কের কটেজের উঠেন। তিনি বলেন এখানের পরিবেশ অন্যদের থেকে আলাদা। সবচেয়ে দারুন লেগেছে পাখির কিচিরমিচর শব্দ। সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে। অপর এক পর্যটক আখতার হাসান জানান, পার্কের ভিতরের গাছগুলোতে ঝাড়বাতি দেয়া আছে। তার মধ্যে চড়–ই পাখি একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি করেছে ,এদৃশ্য ভোলার নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মিয়া জানান, এ এলাকায় বিকাল হলেই গাছের মগডালে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। তবে ইলিশ পার্ক চড়–ই পাখির আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে।
অপর বাসিন্দা শাহআলম মিয়া জানান, এক সময় কুয়াকাটায় প্রচুর গাছ ছিলো। অনেক পাখির বিচরন ছিলো। কিন্তু এখন তেমন দেখা না গেলেও বিকালে ইলিশ পার্কে প্রচুর চড়–ই পাখি দেখা যায়। সকালে কিংবা বিকালে ইলিশ পার্কের পাশ দিয়ে হাটলে চড়–ই পাখির মোহনীয় কিচিরমিচির শব্দ শোনা যায়।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের স্বত্তাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ইলিশ পার্কটি প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়া। এখানে যেসব পর্যটক আসেন তারা এই পরিবেশটাকেই পছন্দ করেন। পাখির কিচিরমিচির শব্দ ও এই পরিবেশ না দেখলে বর্ণনা করা যাবে না। তবে এখানে যেসব পর্যটক আসেন তারা এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়।