Home কৃষি চুক্তিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষেত।।পাইকারদের ভিড়ে স্থানীয় বাজার তরমুজশূণ্য

চুক্তিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষেত।।পাইকারদের ভিড়ে স্থানীয় বাজার তরমুজশূণ্য

34

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। বিস্তৃর্ণ ক্ষেত জুড়ে কাজ করছেন চাষী ও শ্রমিকরা। কেউ তরমুজ কাটছেন, কেউ স্তুপ করছেন। কেউ আবার বিক্রির উদ্দেশে ট্রলি কিংবা ট্রাকে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তরমুজ ক্ষেত কেনার জন্য দর হকাচ্ছেন। মোটকথা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মাঠজুড়ে কৃষক ও পাইকারদের সরব। চলমান মাহে রমজানে মিষ্টি স্বাদের রসালো তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই পাইকারদের ভিড়ে একপ্রকার স্থানীয় বাজারগুলো তরমুজশূণ্য। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩শ ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ধানখালী, বালীয়াতলী ও টিয়াখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। এবছর তরমুজ চাষীরা ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতের পাশেই পাকা তরমুজ কেটে স্তুপ করে রেখেছেন চাষীরা। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে ট্রলি আসছে। ক্ষেত চুক্তিতে ক্রয় করা তরমুজ ট্রলি কিংবা ট্রাক বেঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রসালো এই মৌসুমি ফল কিনতে আগত পাইকাররা বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। তবে তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় চাষীদের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ লেগে রেয়েছে।
টিয়াখালী গ্রামের তরমুজ চাষি রুহুল গাজী জানান, তার তিনটি ক্ষেতে মোট ৪১ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি এবং ড্রাগন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেছেন। এতে ৪৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এরই মধ্যে তিনটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন ৭১ লাখ টাকায়। ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের মিঠু মৃধার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ একর জমিতে করেছেন তরমুজ চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে এই কৃষকের মুখে।
কৃষক শাহআলম বলেন, এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার ক্ষেত চুক্তিতেই ৫৪ লাখ টাকায় তরমুজ বিক্রি করেন। অপর কৃষক ফুল্টু মৃধা বলেন, তিনি ৬ একর জমিতে তরমুজ চাষ করে ৩০ লাখ টাকা ক্ষেত চুক্তিতে এক পাইকারের কাছে বিক্রি করেছেন।
পাইকার আবদুল জব্বার জানান, আমরা এখানের দুই থেকে তিনটা ক্ষেত কিনেছি। বাজারে আগাম তরমুজের চাহিদা বেশি। তাই ভালো দাম পাওয়ার আশায় তিনি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় এবং ভোক্তারা যাতে সহনীয় পর্যায়ে তরমুজ কিনতে পারেন সে জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধে কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছি রয়েছে।