Home সারাদেশ ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আতংকে উপক‚লের কয়েক লাখ মানুষ।।কলাপাড়ায় প্রস্তুত ১৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র।।

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আতংকে উপক‚লের কয়েক লাখ মানুষ।।কলাপাড়ায় প্রস্তুত ১৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র।।

30

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘে ঢাকা রয়েছে আকশ। কখনো কখনো হালকা বাতাস বইছে। পাশাপাশি কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। এর ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছে সমুদ্র উপক‚লের কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে আগত পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে আগত পর্যটকরা। ঘূর্ণিঝড় সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।এছাড়া মেডিকেল টিম, ২০টি মুজিব কিল্লাসহ ১৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তবে এখন বেশি বৃষ্টি হলে লাল শাকসহ শীতকালীন আগম সবজি নষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সভাপত্বিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহঙ্গীর হোসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা, কলাপাড়া থানার ওসি মো.আলী আহম্মেদ, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ূন কবির, সিপিপি সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামার খান, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ূন কবির প্রমুখ। সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এনজিও কর্মী, ডাক্তার, সাংবাদিক, শিক্ষক, সিপিপি প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ঢালে বসবাসরত দরিদ্র মানুষজনের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে নির্দেশনাসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচির (সিপিপি) উপজেলার সহকারী পরিচালক মো.আছাদউজ্জামান খান বলেন, ইতিমধ্যে পতাকা টানিয়ে সাত নম্বর বিপদ সংকেতের বার্তা মানুষকে জানানো হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয় যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে তিন হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখ হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের বারবার মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপজেলা পরিসদ সভা করে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।