Home জাতীয় ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল।।চার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে।। ভারি বৃষ্টিপাত।।

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল।।চার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে।। ভারি বৃষ্টিপাত।।

37

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্রের মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। সোমবার সাকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘূর্ণিঝড় অশনি’র খবরে উৎকণ্ঠা বেড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত লোকজনদের। এদিকে পায়রাসহ সব বন্দর সমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সাথে সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সকাল ৭ থেকে বিলেক ৫ টা পর্যন্ত ২০১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে এবং ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উপকূলে আঘাত হানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মুগডাল ও বোরো ধান চাষীরা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিলেও কিছু সংখ্যক ট্রলার এখনও গভীর সাগরে অবস্থান করছে। তবে আজ সন্ধ্যার মধ্যে সকল মাছধরা ট্রলার তীরে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি।
লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নাই। জলোচ্ছ্বাস হলে ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের ফসলী ক্ষেত, পুকুর, ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, নিজামপুর ও কমরপুর পয়েন্টে বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিপূর্ন। ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.রিয়াজ তালুকদার বলেন, নিশান বাড়িয়া পয়েন্টের বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে নিশান বাড়িয়া, গন্ডামারি, পাঁচজুনিয়া ও লোন্দা গ্রাম প্লাবিত হবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘূর্নিঝড় অশনি’র প্রভাবে বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার গভীর সমুদ্রে থেকে তীরে আড়ৎ ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। আর সে সব ট্রলার এখনও সাগরে অবস্থান করছে তাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে তীরে এসে নিরাপাদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি পরিচালক কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান, ঘূর্নিঝড় অশনি বর্তমানে দক্ষিন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পায়রা বন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বাতাসের গতি বেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার। এর ফলে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি মূলত ভারত উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।