Home সারাদেশ গৃহকর্তার পাশবিক আচরণে প্রাণ গেল চারটি নিরীহ গরুর।

গৃহকর্তার পাশবিক আচরণে প্রাণ গেল চারটি নিরীহ গরুর।

156

মোঃ মহশীন আলী, রংপুর অফিস: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ব্রহ্মগাও গ্রামের পাড়াপুকুর গুচ্ছগ্রামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে মোঃ খাদেমুল ইসলাম(৪২) নামে এক ব্যক্তি তার নিজের ৪টি গরুকে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়াই নিজেও দুইটা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে সরে জমিনে গিয়ে জানা যায় । উক্ত ৪টি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় -৩০০০০০/=(তিন লক্ষ) টাকা।

১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখের ৩:৩০ টার দিকে উক্ত ঘটনা ঘটে। গরুগুলো পর্যায়ক্রমে সন্ধ্যা ৭:০০ টা পর্যন্ত মারা যায়।
খাদেমুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী সাধা নামক এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক করছে। একাধিকবার এ ব্যাপারে তার স্ত্রীকে সে বিষয়ে শাসন করলে তার স্ত্রী কোন কিছুতেই কর্ণপাত করেনি যা তার অসহ্য হয়ে উঠেছে । কথায় কথায় তার বউ তাকে গরুর ধমক দিয়ে বলে যে, তুমি বেশি আমাকে শাসন করলে আমি গরু বিক্রি করে এই সংসার এবং তার সংসারে থাকা তিন বাচ্চা রেখে সে অন্যত্র চলে যাবে। যার কারনে সে এসব সহ্য করতে না পেরে উক্ত গরুগুলোকে গ্যাস ট্যাবলেট খাাওয়াইছে এবং সে নিজেও দুটি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এই প্রতিবেদন সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংগ্রহ করতে গেলে জানা যায়, সে পল্লী চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত সে বাড়িতেই ছিল।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার (তদন্ত)ওসি মোঃ মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন আমাদেরকে এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। যেহেতু রোগী এখন পর্যন্ত বাড়িতে রয়েছে অতএব তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য যেন হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুভাষ চন্দ্র রায়ের নির্দেশে তার ভাইয়েরা ভটভটিযোগে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

পরে রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু শরৎচন্দ্র রায় এসে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং মৃত গরুগুলোকে মাটিতে ভাল করে পুতে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং রোগীর( খাদেমুল) এর কি হয় তা দেখার এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানায় যাবেন বলে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে, খাদেমুলের সাথে থাকা হৃদয় চন্দ্র রায় বলেন-সে(খাদেমুল) ডাক্তারকে বলেন সে নাকি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইনি। সে নাকি অন্য কোন এক ট্যাবলেট খেয়েছে। উল্লেখ্য যে, পল্লী চিকিৎসক বাড়িতে তাকে ওয়াস করার সময় একটি খয়েরি রঙের ট্যাবলেট বের হয়।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খাদেমুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।