Home সাহিত্য ও বিনোদন গণজাগরণের সংগীত উৎসব: পর্দা নামছে আগামিকাল

গণজাগরণের সংগীত উৎসব: পর্দা নামছে আগামিকাল

20

স্টাফ রিপোটার: `সংস্কৃতির মাধ্যমে সুন্দর ও কল্যাণের চর্চা অব্যাহত থাকবে, আমরা সবার ঘৃরে সংস্কৃতির আলো পৌঁছে দেব’- লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘গণজাগরণের সংগীত’এই সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ২-১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব।’

আজ ১২ ডিসেম্বর ১১ দিনব্যাপী চলমান গণজাগরণের সংগীত উৎসব এর ১০ম দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের অংশগ্রহণে চলছে এই উৎসব, আগামিকাল অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ওয়ার্দা রিহাব এর নৃত্য পরিচালনায় পরিবেশিত হয় ‘ইতিহাস জানো তুমি আমরা’ সমবেত নৃত্য। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন কানিজ খালেদা তিন্নি ‘মনের রঙে রাঙাল’; আদিতা পাল পরিবেশন করেন ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’। ধারবাহিকভাবে একক সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীবৃন্দ। শিলা দেবী পরিবেশন করেন, ‘পাথরের পৃথিবীতে কাঁচের হৃদয়’; জেরিন তাবাসসুম হক পরিবেশন করেন, ‘বাপুই চ্যাংড়ারে’; সুম্মিতা দাস সংগীত পরিবেশন করেন ‘পাখি খাঁচা ভেঙে’। এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমরান এর নৃত্য পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয় ‘মধুর ধ্বনি বাজে’ ।

এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতা দাস পূজা ‘ফুলের কানে ভ্রমর আসে’; নিগার নাঈম তমা পরিবেশন সংগীত করেন ‘কাঁটে না প্রহর একা একা’; রাকেশ চৌধুরী জয়রাজ সংগীত পরিবেশন করেন ‘জানিতে চাই দয়াল তোমায়’; নামিরা মুসকান শান্তনা সংগীত পরিবেশন করেন ‘জানি না সে হৃদয়’ এবং শাপলা পাল সংগীত পরিবেশন করেন ‘তুমি চেয়েছিলে ওগো। এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য পরিচালক ওয়ার্দা রিহাব ‘বাংলার হিন্দু’।

আবার একক সংগীত পরিবেশন করেন নবনীতা জাইদ চৌধুরী ‘ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো’; মোছা: মানমা খাতুন পরিবেশন করেন ‘শ্যামরে তোমার সনে’; এবং সোহেল মাহমুদ পরিবেশন করেন ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’।

সবশেষে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালক এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমরান এর নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’।

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলা এ সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে – অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী। এছাড়া প্রতিদিন ২ টি করে নৃত্যদল সমবেত নৃত্য পরিবেশন করছে। আগামিকাল আনুষ্ঠানিক সমাপনী হতে যাচ্ছে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ১১ দিনব্যাপী ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ ১০ম দিনের আয়োজনে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন রাফি ও অন্তরা।