ডেস্ক রিপোর্ট: কমিউনিস্ট শাসিত কিউবার হাভানা ও সান্তিয়াগোসহ প্রধান প্রধান শহরগুলোর রাস্তায় বিরল সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নেমে আসে শত শত বাসিন্দা। প্রতিবাদকারীরা ‘একনায়কতন্ত্রের পতন হোক’, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’, ‘আমরা ভীত নই’, স্লোগান দেন। প্রতিবাদ দমনে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী। হাভানায় সরকারের সমর্থকরাও রাস্তায় নেমে মিছিল করে।

খাদ্য সংকট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মহামারীতে প্রয়োজনীয় ঔষধের অপ্রতুলতা জনগণকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। করোনা মহামারীতে দেশটিতে অনেক সংক্রমণ ও প্রাণহানি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টকে অপমান করে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং করোনার টিকার দাবী করে স্লোগান দেন।

হাভানা ভিত্তিক সাংবাদিক এড অগাস্টিন বলেন ‘এটি কিউবার ইতিহাসে গত কয়েক দশকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।’ হাভানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে স্যান অ্যান্টোনিও ডে লস ব্যানোসের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘মানুষ বিদ্যুৎ এবং খাবার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ।’

কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য মার্কিন সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তার দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। মার্কিন সমর্থিত কিউবান মাফিয়ারা জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে।’ তবে এই সময় বিদুৎ সংকটের কথা স্বীকার করে দিয়াজ বলেন, জ্বালানি পরিস্থিতির কারণে মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলেন নি তিনি, উপরুন্তুসমর্থকদের এই পরিস্থিতি মোকাবেলার ডাক দেন। টিভি বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের সব বিপ্লবী, কমিউনিস্টকে রাস্তায় নেমে এসে এই উস্কানিমূলক কার্যক্রম প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’-আমাদের সময়.কম