Home সারাদেশ কোম্পানীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম

কোম্পানীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম

31

সৈয়দ রাসেল আহমদ,সিলেট অফিস: বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঢালারপার গ্রামে মাসুক চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জুলাই রবিবার রাত অনুমান ১০টার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানার ২নং ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নের অন্তর্গত দক্ষিণ ঢালারপার গ্রামে আবুল খায়েরের বাড়িতে মাসুক চৌধুরীর ব্যবসার ব্যক্তিগত অফিসে।

এ ব্যাপারে মাসুক চৌধুরীর বড় ভাই সুজন চৌধুরী গত ৩ জুলাই সোমবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামিয় আসামিরা হলেন- ঢালারপার গ্রামের রুপা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫), আবু আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে তোফাজ্জল (৩৮), বাবুল (৩৫), মুল্লুক হোসেনের ছেলে এমরান (২২), জামাল (২৫), কবির মিয়া (৩০), শফিকসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জন এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী শফিক ও আসাদুল ওরফে আজিজুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। মামলা নং- ৩, জিআর- ১১৯/২০২৩ খ্রি।

মামলার এজাহারে সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালাসাদক মৌজার ২২১২ নং দাগের সুজন চৌধুরীর রেকর্ডীয় জায়গা হতে প্রতিদিন লিষ্টার মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে আসামীরা। এসময় সুজন চৌধুরীর ভাই মাসুক চৌধুরী আসামীদের বালু উত্তোলনে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত অফিসে আসামীরা এসে হামলা চালিয়ে মাসুক চৌধুরীকে ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করে এবং অফিসের আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় আসামীরা মাসুক চৌধুরীর বালু ও পাথর বিক্রির নগদ তিন লক্ষ টাকা ক্যাশ বক্স থেকে লুট করে নেয়।

গুরুতর আহত মাসুক চৌধুরীর আত্মচিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত মাসুককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে গুরুত্ব আহত মাসুক চৌধুরী ওসমানী হাসপাতের চিকিৎসাধিন আছেন।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা দুইজনকে আসামীকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

সমূহ আসামীগণ দলবদ্ধ পেশাদার চাঁদাবাদ, সন্ত্রাসী, লুটপাটকারী, জবরদখলকারী, ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।