Home রাজনীতি কোন সময়ে গণতন্ত্রের চর্চা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল না–জিএম কাদের

কোন সময়ে গণতন্ত্রের চর্চা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল না–জিএম কাদের

31

মাহাবুবুর রহমান: স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও সার্বিক বিবেচনায় অদ্যবধি কোন সময়ে গণতন্ত্রের চর্চা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল না। এরশাদের সময়ে তুলনামূলক কিছুটা হলেও ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরআগে দুপুরে পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর মুক্তাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে দলটি। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।

জিএম কাদের বলেন, গণতন্ত্র না থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে সংবিধান। সাংবিধানিকভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংবিধানে অনেক পরিবর্তন করা হলেও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গণতন্ত্র চর্চার সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভোট ডাকাতি ও অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। ভিন্নমতের লোকদের মাঠে দাঁড়াতে দেয় না ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতার জোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চায়। কোথাও কোথাও প্রশাসনের সহায়তায় কুলষিত করা হচ্ছে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে। এক সময় নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর এখন নির্বাচন হচ্ছে ভয় ও আতঙ্কের নাম।

সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্টি গঠন করেননি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য পার্টি গঠন করেছিলেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আমরা কারো নেতৃত্বে জোটে যাবো না। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে যদি কেউ আসে তখন ভেবে দেখবো। জনগণ চায় জাতীয় পার্টি ৩’শ আসনে প্রার্থী দিয়ে ক্ষমতায় আসুক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া গেলে বিএনপি অনেক আগেই ক্ষমতায় যেতো। স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না।

পার্টির অপর কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনা, করে উন্নয়নের রাজনীতি। এরশাদ শাসনামলের উন্নয়নের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

এসময় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। সভাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও বেলাল হোসেন। দুপুরের র্যালীতে জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমানসহ পার্টির কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

বিকেলের আলোচনা সভা শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক শেরীফা কাদের এমপির তত্ত্বাবধানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।