Home জাতীয় কৃষি সাংবাদিকতায় ফোয়াব সম্মাননা পেলেন শাওন

কৃষি সাংবাদিকতায় ফোয়াব সম্মাননা পেলেন শাওন

142

ডেস্ক রিপোর্ট: গ্রাম বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরে কৃষি ও কৃষকের সমস্যা-সংকট ও সাফল্য চিত্র গণমাধ্যমে তুলে ধরে কৃষি ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি পেলেন ‘দীপ্ত কৃষি’র হেড অব ইনচার্জ এবং জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শামীমা সুলতানা শাওন। গতকাল ২২ জানুয়ারি ফিশফার্ম এসোসিয়েশন ওনার্স অব বাংলাদেশ (ফোয়াব) তাকে ‘জাতীয় মৎস কংগ্রেস ও ফোয়াম সম্মাননা-২২’ প্রদান করে এ স্বীকৃতি জানালো। রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফোয়াব নেতৃবৃন্দ তার হাতে সম্মাননা পুরষ্কার তুলে দেন। তার এ অনন্য স্বীকৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম সুজন ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
জানাগেছে, এক সময়ের ছাত্র আন্দোলন ও শাহবাগ আন্দোলনের শ্লোগান কন্যা খ্যাত শামীমা সুলতানা শাওন ২০১৫ সালে ‘দীপ্ত কৃষি’তে যুক্ত হয়ে কৃষি সাংবাদিকতায় যাত্রা শুরু করেন। সেই থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকদের অতি আপন করে নেন। গভীর দরদ অনুভব করে ক্যামেরায় তুলে আনেন কৃষি ও কৃষক পরিবারের সমস্যা-সংকট ও সাফল্যের চিত্র। ছুটে বেড়ান দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। খবরের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরেন কৃষকের অভিজ্ঞতা, কষ্টগাঁথা ও পরিশ্রমে অর্জিত সাফল্যের কথা। কেবল তাই নয়, কৃষির অন্যতম অংশ উপকূল জনপদ ও নদীপাড়ের জেলে পল্লীদের কষ্টের কথাও তুলে ধরেন দেশবাসীর সামনে। প্রতিকূল আবহাওয়া কিংবা নানা সমস্যা তার কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি। সাহস নিয়ে এগিয়েছেন সামনের পথে। নদী, পাহাড়, সমতল সবখানেই তার ও দীপ্ত কৃষি টিমের পদচারণা ছিলো দৃপ্তপদভারে। তুলে ধরেছেন খামারিদের সংগ্রামী জীবনের গল্প, কৃষাণীর লড়াইয়ের চিত্র। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে টানা ৩ বছর বেশকিছু কাজ করে করেন শাওন ও দীপ্তকৃষি টিম। অঞ্চল ভিত্তিতে মৎস্য চাষী এবং জেলেদের গল্প উঠে আসে দীপ্তকৃষির সে সকল অনুষ্ঠানে।
আরো জানা যায়, নদী কেন্দ্রিক মানুষদের জীবন ও জীবিকার বড় একটি অংশ হচ্ছে মৎস্যজীবী। দেশের সমুদ্রকে কেন্দ্র করে উপকূলবর্তী জেলার মৎস্যজীবী এবং নদীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত মৎস্যজীবীদের কাছে গিয়ে শাওন জেলেদের মুখ থেকে শুনেন তাদের জীবন সংগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন কথা। মাছ ধরতে গিয়ে কিভাবে জেলেরা ডাকাতের কবলে পড়েন অথবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াং কিভাবে প্রাণ হারান মৎস্যজীবী মানুষগুলো, নেই তাদের সামাজিক বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। সেসব কথা তিনি তুলে ধরেন টিভির পর্দায়।
অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয় জলমহলগুলো মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা প্রদান করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে এগুলো চলে যায় সম্পদশালীদের কাছে। ফলে প্রকৃত জেলেরা নানাভাবে বঞ্চিত হন, সম্মুখীন হন নানামুখী সংকটের। মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় জেলেরা কী নিদারুণ কষ্টের জীবন কাটান সে চিত্রও শাওন তুলে ধরেন তার সংবাদের ভাষায়। এভাবে কৃষি, কৃষক ও মৎসজীবীদের সাফল্য ও কষ্টগাঁথার সংবাদ তুলে ধরে অনন্য অবদানের জন্য তাকে ফোয়াব নির্বাচিত করে সম্মননা পুরষ্কারের জন্য।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সাংবাদিক শামীমা সুলতানা শাওনের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি যুগবার্তাকে বলেন, “আজকের এই সম্মননায় আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। এ সম্মননা কেবল আমার একার নয়, পুরো দীপ্ত টিভি পরিবারের।”
তিনি বলেন, “আমি এখানেই থেমে থাকব না। লড়ে যাব কৃষি ও কৃষকের জন্য। লড়ব মৎসচাষী ও মৎসজীবীদের জন্য। প্রান্তরে প্রান্তরে ছুটে তুলে আনব তাদের সংগ্রামের কথা, সাফল্যের কথা, কষ্টের কথা। এটা আজকের এই সম্মননা পুরষ্কার গ্রহণের পর আমার আনন্দের প্রতিশ্রুতি।”
এমন সম্মানে ভূষিত হওয়ায় শাওনকে অভিনন্দন জানিয়ে জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, “আমরা আনন্দিত এবং উচ্ছ্বাসিত। আমাদের ছোট বোন, আমাদের জনলোকের সহযোদ্ধা তার পেশাগত জীবনে এমন পুরষ্কার পাওয়ায় আমরা জনলোক পরিবার গর্বিত।”