Home জাতীয় কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডারের ইতিবৃত্ত

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডারের ইতিবৃত্ত

51

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: শহরের কাস্টমস মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে ঘাতক সৌমেন’র ২য় স্ত্রী আসমা খাতুন(৩০), আসমার পরকীয়া প্রেমিক শাকিল(২৮) ও দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান রবিন (০৬)।১৩ই জুন বেলা সোয়া এগারোটার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা জেলার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউপি’র সাওতা গ্রামের বাসিন্দা। পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত আসমা ঘাতক সৌমেন’কে বিয়ের আগে আরো দুটি বিয়ে করে, আসমা’র সাথে থাকা ০৬ বছরের রবিন আসমা’র দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী রুবেলের সন্তান। আসমা’র পরিবার থেকে জানা গেছে সৌমেন খুলনায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর থেকে পাল্টে যায় এবং আসমা-সৌমেনের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

ঘাতক সৌমেনের ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানা যায় সৌমেন তাদের পরিবারের মেজ ছেলে।এবং এই হত্যাকান্ডের আগে তারা জানতো না সৌমেন আরেকটি বিয়ে করেছে।খুলনায় সৌমেনের পরিবার রয়েছে, সেই ঘরে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি মেয়ে এবং চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি ছেলে রয়েছে।

নিহত শাকিল বিকাশের একজন কর্মচারী (ডিওএস), এবং জেলার কুমারখালি থানায় তার বাড়ি।

খুলনা রেঞ্জ পুলিশ এবং খুলনা এসপি অফিস দু’টি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং সাত দিনের ভিতর রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।সৌমেন’কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী থেকে।

পুলিশ জানিয়েছে, সৌমেন যখন কুষ্টিয়ার মিরপুরের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন তখন শাকিলের মাধ্যমে পরিচয় হয় এক সন্তানের জননী আসমার। এরপর সৌমেন-আসমা সম্পর্কে জড়ায়। পরে তারা বিয়েও করে। খুলনায় বদলি হয়ে যাবার পর আসমা আর সৌমেনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়। তখন থেকেই শাকিলের সাথে আসমা সম্পর্কে জড়ায় বলে ধারণা করতে থাকে সৌমেন।

রোবিবার সকালে সৌমেন তার কর্মস্থলে জানায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেপ্তারে যাচ্ছে, এই বলে অস্ত্র সাথে নিয়ে বের হয় এবং কুষ্টিয়া আসে। কাস্টমস মোড় এলাকায় একটি বিকাশের দোকানে ঘাতক সৌমেন সহ নিহত তিনজন একত্রিত হয় নিজস্ব বিষয়ে কথা বলতে। এমতাবস্থায় তারা বাকবিতন্ডায় জড়ায়, ঘাতক এএসআই সৌমেন মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে প্রথমে আসমা’কে এবং শাকিল’কে। এই সময় আসমা’র সাথে থাকা তার সন্তান রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে উত্তেজিত সৌমেন ০৬ বছরের বাচ্চা ছেলে রবিন’কেও গুলি করে। এরপর ফাকা গুলি করতে করতে পালাতে গেলে স্থানীয় জনগণ তাকে একটি মার্কেটে আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সৌমেন’কে ১৪ই জুন আদালতে হাজির করে,এবং সৌমেন হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে।