Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসন সংকট অবিলম্বে নিরসন দাবি জানিয়েছে ছাত্রফ্রন্ট

কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসন সংকট অবিলম্বে নিরসন দাবি জানিয়েছে ছাত্রফ্রন্ট

16

ডেস্ক রিপোর্ট: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক এবং সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা লক্ষ করছি, বাংলাদেশ—কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সিটসংকট সমস্যার সমাধান, হলে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি, ডাবলিং করার সিদ্ধান্ত বাতিল, রিডিংরুমের বিকল্প ব্যবস্থা না করে মনোয়ারা ভবন না ভাঙা সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছে। হল প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি রাত ৮ টা থেকে শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের কাছে তাদের দাবী—দাওয়া তুলে ধরেন। কিন্তু হলের প্রোভোস্ট তাদের দাবীর কোনো তোয়াক্কা করেননি। তাই শিক্ষার্থীরা রাত ১১ টায় তাদের দাবী নিয়ে ভিসি’র বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ভিসিও তাদের দাবী—দাওয়ার ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্যে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যতটুকু আবাসন ব্যবস্থা আছে তাতেও হল প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই, রয়েছে ছাত্রলীগের দখলদারিত্বে। এটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র নয়, ইউজিসির ৪৭ তম বার্ষিক রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, ৪৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৯% আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে ৪৭% শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

নেতৃবৃন্দ আরও যুক্ত করেন, “পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকা এবং হলে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ না থাকার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে মিছিলে যেতে বাধ্য করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যা জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কাজে আসে।”

তারা মনে করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের সমাধান চাইলে এর যথাযথ কারণ আগে বুঝতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবসান সংকট সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেমন বিচ্ছিন্ন না, ঠিক তেমনি এটি আমাদের আর্থ—সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং শাসন কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় না। তাই একে সামগ্রিকের অংশ হিসেবে দেখেই এর সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এক দীর্ঘ, সচেতন এবং সংগঠিত চেষ্টার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই শিক্ষার্থীদেরকে সচেতনভাবে সংগঠিত হতে হবে আবাসন সংকটের বিরুদ্ধে, শিক্ষার সংকটের বিরুদ্ধে।”

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মৈত্রী হলের সিটসংকট সমাধানের দাবী জানান।