Home রাজনীতি কারখানাটি চলছিল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে–বাম জোট

কারখানাটি চলছিল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে–বাম জোট

49
????????????????????????????????????

ডেস্ক রিপোর্ট: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভুত সেজান জুস কারখানা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে আজ ১৪ জুলাই দুপুর ১২টায় পল্টনে মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড বাচ্চু ভুইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কমরেড শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কমরেড হামিদুল হক, সিপিবির আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী।
গত ১২ জুলাই বাম জোটের একটি প্রতিনিধি দল রূপগঞ্জের কর্ণঘোপে সেজান জুস কারখানা সরজমিন পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ দেখেন কারখানাটি চলছিল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে। কোন নিয়ম-কানুনের বালাই ছিল না। বিল্ডিং কোড মানা হয়নি ভবন নির্মাণে, অগ্নি নির্বাপনের জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। সিড়ি অপ্রশস্ত, অন্ধকার এবং তালাবদ্ধ ছিল। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হতো। অর্থাৎ শ্রম আইন, শিল্প আইন কোন কিছুরই তোয়াক্কা করা হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ বছরে ফায়ার সার্ভিসের হিসাব মতে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫৮৩৪টি। এ যাবৎ যতগুলো কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধস, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সবগুলোর মালিক সরকার এবং সরকারি দল সংশ্লিষ্ট হওয়ায় কোনটিরই বিচার বা শাস্তি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে উপরোক্ত দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখা, ঈদের আগেই কারখান গেটে শ্রমিক জনসভা এবং ঈদের পর শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়া হয়।