কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিরোধপূর্ন জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন ডা: শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এঘটনায় তার নামে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মামলার বাদী অধ্যাপক মফিজুর রহমান জানান-উপজেলার হিজলদী ফকিরপাড়া গ্রামের মারুফ হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম তার বিরোধপূর্ণ জমিতে মামলা চলাকালে ২১আগস্ট ওই জমি ক্রয় করেন। এর পরে ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদীর জমিতে রাখা ইট দিয়ে ওই জমিতে প্রাচীর দিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। এসময় তিনি ঘটনা স্থানে গেলে হিজলদী গ্রামের মারুফ হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ধাবক ওরফে মৃত নুর ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন এগিয়ে এসে অধ্যাপক মফিজুর রহমানকে ধরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে।
এসময় তারা অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে খুন জখমের হুমকি দেয়। ওই রাতে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করলে তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান-২০১৫ সালে ওই ৬শতক জমিতে বাদীর লাগানো ১০/১২টি মেহগনি গাছ রয়েছে।
এছাড়া ওই জমিতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদকৃত ২০ হাজার ইট, দুই ট্র্যাক খোয়া যার মূল্য প্রায় ২লাখ টাকা রাখা আছে। এর মধ্যে থেকে দেড় লাখ টাকার ইট ও খোয়া চুরি করে নিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি। বর্তমানে সিআর-৩০১/২৩মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডি তদন্ত করছেন। তিনি আরো বলেন-তার সম্পত্তি রদ-রহিত করার জন্য বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেং-৩৪/২০২২ নং একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর ২২ তারিখে স্ত্রীর প্রতি তপশীল সম্পত্তি অন্যত্র কোথাও হস্তান্তর করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। অথচ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমি অন্যত্র হস্তান্তর করায় ঐ জমিতে শান্তি ভঙ্গে সম্ভবনা হবে বিধায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌ: কা: বিধির ১৪৫ধারা মতে পিটিশন নং-১৮৪/২৩ মামলা দায়ের করেন।