Home রাজনীতি কর আপিলেট ট্রাইব্যুনালে ৮৩ লাখ টাকা জমা দিলেন ড. কামাল

কর আপিলেট ট্রাইব্যুনালে ৮৩ লাখ টাকা জমা দিলেন ড. কামাল

27

ডেস্ক রিপোর্ট: কর আপিলেট ট্রাইব্যুনালে ৮৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে হাইকোর্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাবি করা ছয় কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্সের মধ্যে ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে বলেছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী এ টাকা জমা দেয়া হয়।

ড. কামালের আইনজীবী ব্যারিস্টার রমজান আলী শিকদার টাকা জমার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ৮৩ লাখ টাকা আমরা জমা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে স্টাটাস কো (স্থিতিবস্থা) জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি রুল জারি করেছে। ৮৩ লাখ টাকা আমরা আগেই জমা দেয়া আছে। গতকাল আরও ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যে টাকা পরিশোধ করে আপিল করতে হয়, আমরা তার সম্পূর্ণ পরিশোধ করলাম। এখন আর কোনো পাওনা থাকলো না।’

এক প্রশ্নে কামাল হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘আপনারা যে একে ফাঁকি দেয়া কর বলছেন, সেটি সঠিক নয়। কর তো নির্ধারণই হয়নি। এ জন্যই তো রিট।’

গত ১৪ জুন কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় হাইকোর্টের ভিন্ন একটি বেঞ্চ। এরপর বিষয়টি নিয়ে আরেকটি বেঞ্চে যান তিনি। যেখানে আজকে আদেশের জন্য রয়েছে।

কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক কোটি চার লাখ তিন হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর রিটার্ন জমা দেয়। কিন্তু ওই অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার নামে ২০ কোটি ১১ লাখ চার হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ছয় কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরও ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরে রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনার ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন তা খারিজ করে আদেশ দেয়া হয়।

ছয় কোটি টাকা কর ফাঁকির বিষয়ে ট্যাকসেস আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে ড. কামাল হোসেন অ্যাসোসিয়েটস।-আমাদের সময়.কম