কবিতা -১
আর ফিরবোনা
তারপর আর কি!
তোমার দরজায় আর কখনো কড়া নাড়া হবে না,
পরিচিত অভ্যাসগুলোও আস্তে আস্তে হবে অপরিচিত ।
অতিচেনা কন্ঠ স্বরটাও আজ বড়ই অচেনা !
আগে যেই আমি তোমার জন্য পাগল ছিলাম,
সেই আমারই এখন আর তোমার কথা মনে পরে না
।
সত্যি বলছি! একটুও মনে পরে না!
কিভাবে পড়বে বলো?
মন নামক জিনিসটা কষ্টের পাহাড় বইতে বইতে একদমই নিস্তেজ ।
এখন আমার কাছে ভোরের আলো
কিংবা সন্ধ্যার আধার দুই’ই সমান!!
এখন আর কোনো কষ্টে ভেঙে পড়িনা,,
শুধু শেষ বিকেলে এসে অপেক্ষা গুলো ভিড় করে বসে আছে আমার চারিপাশে!!
তার মাঝে না.. একটুও তোমায় মনে পড়ে না….
কবিতা -২
এক ফোঁটা অশ্রু
তুমি চলে গেলে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
যে মানুষ তোমাকে ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারবে না বলতো
সে মানুষটা আজ কি করে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে যেতে পারে!
ভাবতেই যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।
আমি ভালোবাসি বললাম তুমি মুখ ফিরিয়ে নিলে..
পরক্ষণেই ভাবলাম এই তুমি কোনো একটা সময়ে
ভালোবাসি কথাটি শোনার জন্যে কতোনা পাগলামো করতে।
অথচ আজ সেই তুমি আমায় এড়িয়ে যেতে চাও।
ভেজা চোখে তোমার হাত দুটো ধরে বললাম থেকে যাওনা.
হাতটা ছুঁড়ে দিয়ে বললে এসব অভিনয় আমার ভাল্লাগে না!
অথচ এই তুমি কোনো একটা সময়ে আমার হাত ধরে
জীবনের বাকিটা সময় পাড়ি দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলে।
হঠাৎ মনে পড়লো,
যে মানুষটা আমার হাসিতে ঠোঁট মিলিয়ে হাসতো
হৃদয়ের ঢেউ ভেঙে আসা চোখের জলও আজ তার চোখে পড়লো না।
মানুষ কত নিষ্ঠুরভাবে বদলে যেতে পারে।
কত সহজেই মানুষ ভালোবাসা ভুলে যায়,
ভুলে যায় ভালোবাসার মানুষটিকে!!
তোমার এভাবে ছেড়ে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারিনি….
অবাধ্য হয়ে গাল বেয়ে ঝরে পড়লো চোখের জলগুলো…
তবুও ভেজা চোখে তোমার চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে রইলাম!
তাকিয়ে থাকলাম এক বুক আশা নিয়ে,
যদি একবার তুমি পিছু ফিরে তাকাও..
যদি একবার ফিরে এসে জড়িয়ে ধরে বলো ভালোবাসি।
তবুও তুমি ফিরলে না!
হারিয়ে গেলে দৃষ্টির সীমানা থেকে।
পথ ফুরালো পথের বাঁকে তুমিও অদৃশ্য হলে
শুধু অবিরত ঝরলো আমার চোখের এক এক ফোঁটা অশ্রু।।।
কবিতা -৩
সুপ্ত বাসনা…
তোমার আগমনে এনেছিল আমার হৃদয়ে বসন্ত!!
তোমার উপস্থিতি ছিল আমার অনুপ্রেরনা!
ক্ষনিকের হলেও তোমার স্পর্শ ছিল এক শিহরণ জাগানো মুহূর্ত আমার এই ছোট্ট মনের ঘরে!!
হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম বড়ো ভালোবেসে!
আর তুমি, সেটা উপেক্ষা করে চলে গেলে আমাকে রেখে
তোমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম!
ফিরলেনা পিছে তুমি!!
রয়ে গেলাম আমি আজও একা দাড়িয়ে!!
কবি : রেহান উর্মি। বাবা : মৃত জবেদ আলী সরদার।মা: জাহানারা বেগম। জন্ম পড়াশুনা ঢাকাতে। দাদা বাড়ি খুলনা। তাঁর প্রিয় শখ টুর করা। ছোট বেলা থেকে লিখতে ভালোলাগতো। সেই থেকে লিখে চলেছেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। বই মেলায় তিয়াষীত হৃদয় ও চিঠি শিরোনামে তাঁর দুটি কাব্য গ্রন্থ এসেছে অমর প্রকাশনী থেকে। স্টল নং: ২২৪। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন।