ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে বায়ু মণ্ডলের ওজোন স্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসসহ মানব সৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে ওজোন স্তর আজ হুমকির সম্মুখীন। ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধে ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালে জাতি সংঘ কর্তৃক ভিয়েনা কনভেনশন ও মন্ট্রিলপ্রটোকল গ্রহণ করা হয়। মন্ট্রিলপ্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ৩৬ বছরে বিশ্বব্যাপী ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে মন্ট্রিলপ্রটোকলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব ওজোন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Montreal Protocol: fixing the ozone layer and reducing climate change (মন্ট্রিলপ্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি)’যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ওজোন স্তরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয়হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানবদেহে ক্যান্সার, রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা হ্রাসসহ উদ্ভিদ ও প্রাণি জগত হুমকির সম্মুখীন হবে। ওজোনস্তর রক্ষায় তাই সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করি, জীব বৈচিত্র্য এবং মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উদ্যাপন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আমি ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

জয়বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”