ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করল। এর ফলে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বৈশ্বিক যোগাযোগ, টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিমান পরিবহন সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রয়োজনে আকাশ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের নতুন তৃতীয় টার্মিনাল ভবনটিতে অত্যাধুনিক ফ্যাসিলিটিজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ এয়ার ট্রাফিক মুভমেন্টের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা দেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি৷ নবনির্মিত এ টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে অতিরিক্ত ১৬ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে যাযোগাযোগ ও পরিবহন ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য পরিষেবার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন আকাশ পথে যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা উল্লেখ যোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দূরদর্শিতা, সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। আমি আশা করি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল দেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করবে এবং নতুন নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের আকাশ পথের সঙ্গে যুক্ত হবে।
নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নতুন আমদানি-রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণের ফলে আকাশ পথে ব্যবসা যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও এ খাতকে যুগোপযোগী করার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট সকলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন- এটাই