উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্ধে এইচএম ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এখন ধ্বংসের পথে। হারাতে বসেছে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ। স্থানীয় একাধিক সচেতন মহল জানিয়েছেন, গত ৩ জুন ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির পরাজিত প্রার্থীরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেন। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সার্জন প্রফেসর ডাঃ আবু বকর আকন। শুধু তাই নয় ওই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, অসহায় গরীবদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে ডাঃ আবু বকর আকন তৈরী করেন শাপলা নামক একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে করোনাকালীন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করে আসছেন। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচের যোগান দেন তিনি। এ কারণে এলাকার মানুষ গরীবের বন্ধু হিসেবে তাকে গ্রহন করেন। কিন্তু এগুলো গ্রহন করতে পারেননি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা। একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা নিয়োগ বানিজ্যের ভূয়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সম্মানিত সভাপতি ডাঃ আবু বকর আকনকে অপমানিত করতে গিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রের রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গত ৩ জুন বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডিজির প্রতিনিধি করে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগ পরীক্ষাকে অবাধ, দূর্নীতিমুক্ত করতে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওই নিয়োগ কার্যক্রমের তদারকি করেছিলেন। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোহসেন আরা শিখা জানান, তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন নিয়োগ বোর্ডে সরাসরি উপস্থিত হতে না পারলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি সরাসরি উপস্থিত থেকে পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছ বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি তদারকি করেন। দূর্নীতিতো দূরের কথা কোন পরীক্ষার্থী সামান্যতম নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারেনি। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হারিছ হাওলাদার সুমন জানান, গত ইউপি নির্বাচনে শাপলা সংগঠনের সদস্যরা ও প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আবু বকর আকন আমাকে সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ডাঃ আবু বকর আকন শুধু স্কুলের সভাপতিই নন, তিনি এই সমাজের গর্ব। এদিকে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার দাবীতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।