Home স্বাস্থ্য উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে লবণ খাওয়া যাবে না: উপাচার্য

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে লবণ খাওয়া যাবে না: উপাচার্য

19

বিএসএমএমইউয়ে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: “ সঠিকভাবে রক্তচাপ পরিমাপ করুন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকুন ” প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল নটায় ( ১৮ মে ) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগ। শোভাযাত্রাটি প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে ১৫০ কোটি লোক ও বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। রক্তচাপ আক্রান্ত ১৪% মানুষ তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। দেশে প্রতি ৫ জনে ১ জন যা মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এর কিডনি, লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়া, অন্ধ হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ নানান ধরণের অসুখের কারণ উচ্চ রক্তচাপ। মাসে অনন্ত দুবার প্রেসার মাপতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক। এর কারণে নানান জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৫০% মানুষ তারা তাদের রোগ সম্পর্কে জানেন।বাকি ৫০% মানুষ তাও জানে না। খাদ্য তালিকা থেকে লবণ বাদ দিতে হবে। ধূমপান করব না, স্ট্রেস নেবো না, মোবাইল চালানো সীমিত করতে হবে। মোবাইল বেশি ব্যবহার করার ফলে মানুষ অলস হয়ে পড়ছে।সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।এতে করে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হচ্ছে।

উপাচার্য আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাস্থ্যখাতে নানান উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবার আমাদের দেশের মানুষের গড়ায়ু ৭৩ বছর হয়েছে। তার শতায়
কামনা করছি।

এসময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রসুল আমিন, সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা জহুরা প্রমুখসহ কার্ডিওলজি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।