Home জাতীয় ঈদে ৪০ লাখ যাত্রীর চাপের মুখে সদরঘাট টার্মিনাল নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ

ঈদে ৪০ লাখ যাত্রীর চাপের মুখে সদরঘাট টার্মিনাল নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ

38

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদযাত্রায় এ বছর ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে অস্বাভাবিক চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ এ ৩ জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

কিন্তু মাত্র ১২ দিনে একমুখী এত যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক নৌযান নেই। ফলে লঞ্চের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী বহন করা হবে এবং এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় ঈদে বিড়ম্বনামুক্ত নিরাপদ নৌযাত্রার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

এতে বলা হয়, প্রতি ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের চারটি সিটি করপোরেশনসহ এ তিন জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে। তাদের ২৫ শতাংশ যায় নৌপথে। আর সড়ক ও রেলপথে যায় যথাক্রমে ৫৫ ও ২০ শতাংশ| এ হিসাবে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ যায় লঞ্চসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানে।

তবে নিয়মিত দুর্ঘটনা, দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল দশা, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের প্রধান দুটি মাধ্যম শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিস্বল্পতা ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই সড়কপথ এড়ানোর চেষ্টা করবেন। এর বিপরীতে নৌপথে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ লাখ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির কারণে সব বাধা উপেক্ষা করেই স্বজনদের সান্নিধ্য প্রত্যাশীরা ছুটে যাবেন গ্রামের উদ্দেশে। এতে টার্মিনালে যেমন মারাত্মক অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হবে, তেমনই লঞ্চের ছাদসহ ডেকে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে। এ ছাড়া এবার দুর্যোগ মৌসুমেই উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ কারণে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে। ফলে নৌপথে নিরাপদ ঈদযাত্রার জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বাড়ানো, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি।-ইত্তেফাক