স্টাফ রিপোটার: রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায়।প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, মিরপুর জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ও মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মাওলানা হাবিবুর রহমান মেশকাত।
দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে একসাথে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লী ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
এ সময় তিনি ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানান।
ঈদগাহে একসাথে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মহিলার নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে বলে সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিধিনিষেধ থাকায় ২ বছর পর এবার কিশোরগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রোববার সকাল ৯টায় শুরু হবে এই ঈদ জামাত।
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বাসস’কে জানান, এবারের ১৯৫ তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ।
প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
সকাল ১০টার চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জহিরুল ইসলাম।
বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
৫টি জামাতের কোনোটিতে কোনো একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। চিফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লীরা জামাতে অংশ নেবেন। এ ছাড়া এই জামাত সবার জন্য উন্মুক্ত বলে সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জামাতে সকল আগ্রহী মুসল্লীকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় পবিত্র ঈদুল আজহার দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাতের আয়োজন অন্যত্র করা হবে। সে গুলো হলো, কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল পৌনে ৭টায়, বকশীবাজার বায়তুল সালাম মসজিদে সকাল ৭টায় ও আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল সোয়া ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।