Home সারাদেশ ইশতেহার দিয়েছে নাসিরনগর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের

ইশতেহার দিয়েছে নাসিরনগর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের

19

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: নির্বাচনী ইশতেহারে হয়রানিমূলক মামলা নিরসনের আশ্বাস বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের কলা প্রতিকের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাসিরনগর সদরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন একরামুজ্জামান। তিনি বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ-বিএনপির বিরুদ্ধে আবার বিএনপি-আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই। নাসিরনগরবাসীর চিন্তায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি, কিন্তু নৌকায় যোগ দেইনি।এ ময় তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী, অসাম্প্রদায়িক, প্রযুক্তি নির্ভর, বেকারমুক্ত, বৈষম্যহীন, সুশিক্ষিত নাসিরনগর প্রতিষ্ঠায় বিগত বিশ বছর যাবৎ আমার যে স্বপ্ন ও রাজনৈতিক অভিপ্রায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সারা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো। এসময় তিনি নাসিরনগরের শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন।রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করা অন্যায় নয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র হয়ে ব্যবসায় সফল হয়েছি, স্বতন্ত্র ভাবে রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ও এই সরকার সারা বিশে^র কাছে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। তারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ^ দরবারে নির্বাচন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এসময় সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থবিষয়ক মো: নাজির মিয়া, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোমা আক্তারসহ তার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেনউল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ একরামুজ্জামানের পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে দলীয় এক কর্মী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় পরদিন (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যের পদ থেকে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।