Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ইবির বঙ্গবন্ধু হলের বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন

ইবির বঙ্গবন্ধু হলের বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন

28

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও সমাপনী অনুষ্ঠান ২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হলটির সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি সেশনের (১৫-১৬,১৬-১৭,১৭-১৮) শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুধাংশু কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আরফিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মোঃ মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলের প্রভোস্টবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত অতিথিবৃন্দের হাত ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের “মুজিবসেনা স্মৃতি কথা” নামক স্মৃতিস্মারক উন্মোচন করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আরফিন বলেন, এই ঘরের(হল) সুনাম তোমাদের মাধ্যমেই হবে। হলের নামটাই জাতির পিতার নামে সুতরাং সেই আদর্শের ভূমিকা রাখবে। আমি হল প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কোনো অভিযোগ করেনি। কেন করেনি জানি না, তবে একটা কথা বলব- অধস্তন কর্মকর্তা আমার শিক্ষার্থীদের যেন আমার রুমে আসার ব্যাপারে বাঁধা না দেয়। আমি সবসময় তোমাদের জন্য আছি। যদিও সুপেয় পানির সংকট আছে, সকল হল প্রভোস্টরা বসে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতেছি। এই হলের আন্তর্জাতিক ব্লগের একাংশে পুলিশ থাকে। তাদেরকে সরিয়ে ডাইনিং রুম বানিয়ে বর্তমান ডাইনিং রুমটা আমার শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার রুম করে দিতে চাই।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি এই ক্যাম্পাস থেকে এই প্র্যাক্টিক্যাল জীবনে, জীবন যুদ্ধে বা যেখানে সফল হও এবং সেখানে প্রতিষ্ঠিত হও, তারই উপর নির্ভর করবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাগত ভবিষ্যৎ ও সুনাম। আমার প্রত্যাশা থাকবে নিজেদের স্ব-স্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে আকাশের তারা হিসেবে জ্বলবে। যেখানে যাও নিজেকে, সমাজকে ও দেশকে ভালোবাসো। দেশের জন্য কাজ করো।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয় তাদের হল আবাসন, এটাই দ্বিতীয় বাড়ি। বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মেও গর্ববোধ করতে পারবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্র। আপনাদের কাজ দ্বারা এই হলের নামই প্রমাণ করবে। এই হলে খাবার দিয়ে বড় করে বিদায় দিচ্ছি না। সাফল্য অর্জন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঋণ পরিশোধ করার জন্য ছেড়ে দিচ্ছি। আমি পলিটিক্স করতে বলি না, কিন্তু আমাদের জাতির পিতার দর্শন ও বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধারণ করতে হবে।