ডেস্ক রিপোর্ট: মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম ইথিওপিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। পরিচয়পত্র পেশকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইথিওপিয়ার সরকার এবং জনগনের জন্য বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌছে দেন। তিনি ইথিওপিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন ও বলেন যে উক্ত আন্তরিক এবং গভীর সম্পর্ক পুনরিজ্জীবিতকরণ তার অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিবরণ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশীদের পেশাদারী নৈপুণ্য ইথিওপিয়ার উন্নতিতে কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন।

ইথিওপিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নতির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন এবং অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে ইথিওপিয়া মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে তার ব্যাক্তিগত ও ইথিওপিয়ার জনগনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পৌছে দেবার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন যে বাংলাদেশের প্রবর্তিত ক্ষুদ্র ঋণ ও নারীর ক্ষমতায়ন অন্যান্য সকলের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের ইথিওপিয়ার বিশেষায়িত অঞ্চলসমূহের বিশেষ সুবিধার সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগের আহবান জানান। মান্যবর রাষ্ট্রদূত কৃষি ও শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে বাংলাদেশের কৃষিকাজ লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ইথিওপিয়ার উর্বর কিন্তু বিপুল পরিমানে অব্যবহৃত জমিতে প্রয়োগের প্রস্তাব করেন এবং ইথিওপিয় সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধাদির সুযোগ গ্রহন করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত করোনা মহামারী পরবর্তীকালে বাংলাদেশ থেকে একটি অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রস্তাব করেন এবং ইথিওপিয় রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান। সর্বশেষে ইথিওপিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতি মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যকালে সর্বোত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।