Home রাজনীতি আ‘লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন করতে পারছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

আ‘লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন করতে পারছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

25

২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন: খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; আবারও দেবে। যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন করতে পারছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকেল পৌনে ৫টায় এ বৈঠক শুরু হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দীন নাছিম,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুরসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যরা।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। আওয়ামী লীগের আসন্ন ২২তম জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে সম্মেলনের ব্যয় কমাতে হবে। তাই সম্মেলন সাদামাটা। এ সময় তিনি প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এবার আয়োজন সাদামাটা হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমাতে হবে। খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই, বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত। তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; এবারও দিবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দিবে না।
এরপর দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে আসেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের কথা জানান। এ ছাড়া আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মহাসমাবেশের কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবার একদিনে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সকালে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন হবে অর্থাৎ নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। তিনি আরও বলেন, ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে বেশকিছু উপ-কমিটি করা হয়েছে। পরে কমিটির সদস্যদের নাম জানিয়ে দেয়া হবে।
বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ বেশকিছু সহযোগী সংগঠনের ও তারিখ নির্ধারণের আভাস দেন। বৈঠকে বিভাগীয়, জেলা উপজেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন। গত ৭ মে দলের সবশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে ২০তম এবং ২০১২ সালে দলটির ১৯তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।