Home রাজনীতি আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র রক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড হোক–আইনমন্ত্রী

আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র রক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড হোক–আইনমন্ত্রী

42

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥বিএনপি নেতাদের মুখে লাগাম দেওয়ার আহবান জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, আপনারা রাজনীতি করেন আপত্তি নেই। কিন্তু যদি আবার ১৫ আগস্ট করবেন- এইসব কথা বলেন, আমরা আইনের মাধ্যমে আপনাদের দাঁত ভেঙে দেব। আইনের মাধ্যমে যে শাস্তি দেওয়া উচিত, সেই শাস্তি দেব। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র রক্ষা করে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড হোক। আপনারা ষড়যন্ত্র করে এখানে কিছু করতে পারবেন না।’
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন উপলক্ষে টি. আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপির গা জ্বলা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রথম ষড়যন্ত্র করেছে- বিশ্ব ব্যাংক যেন অর্থ না দেয়। ড. ইউনুস এবং ড. কামাল হোসেন সকলে মিলে ষড়যন্ত্র করে, যাতে বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বাংলাদেশের জনগণের টাকায় ইনশাআল্লাহ আমরা পদ্মা সেতু করব। দেশের জনগণের টাকায় শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন।’
প্রান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বাংলাদেশে আর ৭৫ ফিরে আসবে না। আর ১৫ আগস্ট ঘটতে দেওয়া হবে না। ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সভাপতি ও কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়াকে সাধারন সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রায় আট বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো।