Home রাজনীতি আন্দোলনেই মাধ্যমেই তত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবো : ফখরুল

আন্দোলনেই মাধ্যমেই তত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবো : ফখরুল

29

স্টাফ রিপোটার: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ সমগ্র জাতি সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। তাই জনগণের প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় আনতে অবশ্যই একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় ছাড়া বিকল্প কোনে পথ নেই।

বুধবার বিকেলে গুলশানে হোটেল সিক্স সিজনে পঞ্চদশ সংশোধনী’র সাংবিধানিকতা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনো সংবিধান সম্মত শীর্ষক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নিজেদের মন্তব্য উপস্থাপন করেন অতিথিরা। তারা বলেন, তত্বাবধায়ক নিয়ে বিএনপির দাবি যৌক্তিক। কারন, সরকার গণতন্ত্রের পথে এখন সবচেয়ে বড় অন্তরায়। শেখ হাসিনাকে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করাতে না পারলে কোনো সমাধান হবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৬ সালে বিরোধী দলের নেত্রী থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য রেখেছিলেন- ‘সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান কার্যকর করতে হবে’ সংস্কারের কথা বলে তিনি সেই তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছিলেন। তবে আজ কেনো তত্ত্বাবধায়ক দিতে তার এতো আপত্তি।

ফখরুল বলেন, তবে সরকার যতই আপত্তি তুলুক সব রাজনৈতিক দলগুলো আজ একই দাবিতে একমত হয়েছি- আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সংসদের বিলুপ্তির মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সামনে তত্ত্বাবধায়কের গূরত্ব তুলে ধরা।

তিনি বলেন, আজ এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাকশাল কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাওয়া। কারন, নির্বাচন ছাড়া জনগণের প্রতিধিদের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান।

এছাড়াও কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মে: জে: ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, সাইফুল হক, গণ- ফোরামের মেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ব্যাপারীসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আই আর আই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিলো গণতন্ত্র। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যারা সরকার গঠন করেছে। তত্বাবধায়ক সরকার প্রথম এ দাবি তারা তোলে, এরপরে মওদুদ আহমেদ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন৷ অথচ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা তত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে তত্বাবধায়ক আদায় করে নিতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান আদালতের মাধ্যমে হয় না, রাজপথেই হয়।
তাই রাজপথ ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই, সবাইকে একসঙ্গে নামতে হবে। ভাগাভাগি লাভ লোকসান নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। অর্জনের আগে ভাগ হয় না। তাই এসি রুমে বসে আওয়াজ তুলে কোনো লাভ নেই। জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এই দাবি নিয়ে মাঠে নামতে পারলে কেউ রুখতে পারবে না।