Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস আন্তর্জাতিক সিন্থেটিক বায়োলজি প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেলেন জাবি শিক্ষার্থী তৌসিফ

আন্তর্জাতিক সিন্থেটিক বায়োলজি প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেলেন জাবি শিক্ষার্থী তৌসিফ

34

জাবি প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক সিনথেটিক বায়োলজি প্রতিযোগিতা (IGEM) ২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য গঠিত বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী তৌসিফ আল-আরিয়ান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী৷

আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য International Genetically Engineered Machine – IGEM প্রতিযোগিতায় ১ম বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে৷ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিটিটিভ ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত স্নাতক পর্যায়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এবারের বাংলাদেশ দল গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী কয়েক মাস সিনথেটিক বায়োলজির উপর একটি প্রজেক্ট নির্মাণে একত্রে কাজ করবে এবং তা আগামী বছর প্যারিসে iGEM 2024 Grand Jamboree -তে উপস্থাপন করবে।
এ বিষয়ে তৌসিফ আল-আরিয়ান বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে আর সেখানে আমি বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি যা সত্যিই আমার জন্য আনন্দের৷ এ প্রতিযোগিতায় আমাদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশদভাবে বায়োলজির প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারীরা৷ তাই ভবিষ্যতে যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহী তাদের বাস্তবিক জীবনের সাথে বায়োলজির বিভিন্ন আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে জ্ঞান অর্জনে চেষ্টা করতে হবে৷

উল্লেখ্য, IGEM Competition একটি আন্তর্জাতিক সিনথেটিক বায়োলজি প্রতিযোগিতা। ২০০৪ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর ইন্ডিপেন্ডেন্ট একটিভিজ-এর অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টুডেন্ট প্রজেক্ট থেকে এ প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হয়৷ পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে আমেরিকার বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এবং ২০১২ সাল থেকে এটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। IGEM -এর উদ্দেশ্য সিনথেটিক বায়োলজি সম্পর্কে সাধারণ্যের জ্ঞান ও উপললব্ধি সমৃদ্ধ করা এবং এই ক্ষেত্রে একটি ওপেন কমিউনিটি গড়ে তুলে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় সিনথেটিক বায়োলজির সর্বাধুনিক ধারণা ব্যবহার করে নানাবিধ প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। বর্তমানে এই আয়োজনে প্রতি বছর ৩০০-এর অধিক দলে ৬ শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে থাকে।