Home রাজনীতি অর্ধেক বাস চলবে, আর অর্ধেক চলবে না, এর নিশ্চয়তা দেবে কে? প্রশ্ন...

অর্ধেক বাস চলবে, আর অর্ধেক চলবে না, এর নিশ্চয়তা দেবে কে? প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর

32

ডেস্ক রিপোর্ট : সোমবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই প্রশ্ন তোলেন। তিনি এ–ও বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর মন্ত্রণালয়ের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।

বুধবার থেকে চলমান বিধিনিষেধ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিথিল করা হয়েছে। অফিস, দোকান, মল, রেস্তোরাঁ—সবকিছুই খুলে যাচ্ছে। সরকারের আদেশে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে গণপরিবহন চলবে। তবে মোট বাস বা অন্যান্য গণপরিবহনের অর্ধেক সড়কে চলাচল করতে পারবে। পরিবহনে সব সিটেই যাত্রী নেওয়া যাবে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতিমধ্যে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে

সেই আদেশের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টি আমাদের মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভালো হতো। কারণ, অর্ধেক গাড়ি চলবে, অর্ধেক চলবে না, এটা নিশ্চয়তা কে দেবে? এটা ঠিকমতো হবে কি না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগে আলাপ করলে আমরা আমাদের মতামত দিতাম। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তারা যদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে, ভালো কথা। এটা আমাদের এখতিয়ার নয়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার থেকে গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী কি না, ঠিকমতো মাস্ক পরছে কি না এবং ভাড়া ঠিকমতো নিচ্ছে কি না—এসব বিষয় বিআরটিএ দেখবে। এ ছাড়া গাড়ি যাত্রার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, এগুলোও দেখা হবে। তিনি বলেন, ১১ তারিখ থেকে গণপরিবহন চালু হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যত সিট তত যাত্রী। আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল করবে। এই জন্য মালিক, শ্রমিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বিধিনিষেধ শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন পরিবহনমালিকেরা। তাঁদের দাবি, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বরং সব বাস ও গণপরিবহন চলাচল করুক।

অবশ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অর্ধেক গণপরিবহন চলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, অন্তত কিছুদিন যত বাস আছে, তার অর্ধেক চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে বাইরে থেকে চাপ কম হয়। একসঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামে যেন ঢুকতে না পারে।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা দেওয়া জোরদার করা নিয়ে গত ২৭ জুলাই সরকারের উচ্চপর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট কলকারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবির বিষয়ে সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, চলমান লকডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্ত (তখন পর্যন্ত, পরে তা আজ পর্যন্ত বাড়ানো হয়)। যদিও শিল্পপতিরা অনেকেই অনুরোধ করেছেন কারখানা খোলা রাখার জন্য, কিন্তু সেই অনুরোধ বোধ হয় রাখা যাচ্ছে না।

কিন্তু এর তিন দিন পর গত ৩০ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের এক আদেশে বলা হয়, ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ১ আগস্ট থেকে তৈরি পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট কলকারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু যানবাহন বন্ধ রেখে কলকারখানাগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে শ্রমিকেরা দুর্ভোগ নিয়ে কারখানা অভিমুখে রওনা দেন। এরপর আবার সাময়িক সময়ের জন্য পরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।-আমাদের সময়.কম