Home জাতীয় বরিশালে ১৪ পুলিশ সদস্য সাময়ীক বরখাস্ত

বরিশালে ১৪ পুলিশ সদস্য সাময়ীক বরখাস্ত

44

বরিশাল অফিস: দায়িত্ব অবহেলার দায়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানার তিন উপ পরিদর্শকসহ ১৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়ীক বরখস্ত করা হয়েছে। গত ৩জুলাই রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরিত এক আদেশে পুলিশ সদস্যদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা (মামলা রজু) নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৫জুলাই)বিকেল পৌনে ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালে রেঞ্চের উপ-মহাপরিদর্শক(ডিআইজ) এসএম আকতরুজ্জামান। বরখাস্তদের মধ্যে গৌরনদী মডেল থানার দুই উপপরিদর্শসহ ১০জন এবং উজিরপুর মডেল থানার এক উপপরিদর্শকসহ চার পুলিশ সদস্য কর্মরত ছিলেন।
ডিআইজি আকতারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন সময়ে রাত্রকালীন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলার এবং গৌরনদী উপজেলা অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করায় সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। রাত্রীকালী ডিউটি পালনে গাফলতি থাকায় তাদের কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন, গৌরনদী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আঃ গাফফার হোসেন, উপ পরিদর্শক ছগির মিয়া, সহকারী উপ পরিদর্শক সোহরাব হোসেন, কনেস্টবল মোঃ ইকবাল, মোঃ কামাল, মুরছালিন, নয়ন, অমৃত, মেহেদী ও গাড়ীচালক (কনেস্টাবল)আঃ হক রানা। উজিরপুর মডেল থানার ৪ জন হলো উপ পরিদর্শক মো. জিয়াউল হায়দার, কনেস্টাবল রবিউল ইসলাম, মোঃ সোহেল রানা ও ইমরান হোসেন।
রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরিত আদেশ সূত্রে জানাগেছে, গত ২ রা জুন বৃহষ্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডের মধ্যে থাকা গ্যারেজ থেকে ইয়ামাহা এফজেড ভার্সন-২ মডেলের একটি মটর সাইকেল চুরি হয়।
বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডসহ ঢাকা-বরিশাল হাইওয়েতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অজ্ঞাতনামা এক চোর খালি পায়ে, চাবিবিহীন অবস্থায় মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়। চোর মোটর সাইকেল নিয়ে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে হয়ে প্রথমে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানা এলাকার প্রবেশকালীন চেকপোষ্ট হয়ে ফরিদপুরেরও ভাঙ্গা থানার দিকে চলে যায়। আর গৌরনদী ও উজিরপুর থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা সেই রাতে থানার ডিউটি বন্টন খাতায় ওই সকল এলাকায় মোবাইল ডিউটি থাকলেও বাস্তবে তারা মহাসড়কের ডিউটি দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো, তাহলে চোরসহ মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো। মহাসড়কের রাত্রীকালীন দেওয়া ডিউিটি সঠিক ভাবে পালন না করায় চোর পুলিশের চেকপোস্টসহ সকল স্থান নিবিঘ্নে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। তাই রাত্রীকালীন ডিউটি পালনের অবহেলার কারনে তাদের সায়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়।