Home কৃষি কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় ড্রাগন চাষে সফল

কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় ড্রাগন চাষে সফল

49
Exif_JPEG_420

উত্তম কুমার হাওলাদার (পটুয়াখালী) কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় চাষ হচ্ছে ড্রাগনের। পুষ্টিকর ও গুনগতমান ভাল হওয়ায় ড্রগন ফল দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এ ফল বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে মো.মস্তফা জামান ২০১২ সালে শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। কোনো প্রকার রাসানিক ঔষুধ ছাড়াই ৮ মাসের মাথায় গাছ থেকে বেড়িয়ে আসে একের পর এক ফল। এরপর ক্রমশই তার বাগান বৃদ্ধি হয়। ২০১৮ সালে তিনি চার একর জমিতে বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সফল হয়। তারই অনুপ্রেরণায় উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক কৃষি খামার করেছে অনেক বেকার যুবক।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ড্রাগন ফল ভিটামিন সি’র দারুন উৎস। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া অ্যাজমা-ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
ড্রাগন চাষী মো.মস্তফা জামান বলেন, শখের বসে তিনি ড্রাগন চাষ শুরু করেন। প্রথমে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির ড্রাগনের চাষ করে। বর্তমানে তার বাগানে লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন রয়েছে। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বাগানে ছয় শতাধিক গাছ রয়েছে। এ গাছ থেকে একটানা সাত মাস ড্রাগন ফল পাওয়া যাবে। এ তবে এ বাগান থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সমাজ সেবিকা সালমা কবির বলেন, এটি ভিনদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশেও মিলছে প্রচুর। এ ফলের স্বাদ ও পুষ্টিগুণও রয়েছে। এই ফল অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলা এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মস্তফা জামান বাগানটি উল্লেখযোগ্য। ড্রাগন বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।