Home জাতীয় ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল নগরীর অংশ ছয়লেন করার পরিকল্পনা

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল নগরীর অংশ ছয়লেন করার পরিকল্পনা

49

রফিকুল ইসলাম সুজন : ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল নগরীর গোড়িয়ার পাড় থেকে রুপাতলী আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পযর্ন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক। সগড়কটি কোয়াও ২৪ মিটার কোথাও ৩০ আবার কোথাও ১৮ মিটার প্রসস্ত। পদ্মা সেতু উদ্ভোধনের পর এই সড়কের যানবাহান চাপ বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুন। তাই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে মহাসড়কের নগরীর মধ্য অংশ ছয়লেন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগীতা প্রয়োজন বলে জানান।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে এ সড়কটির ওপর চাপ বাড়বে কয়েকগুণ। যেহেতু বাইপাস সড়ক হতে সময় লাগবে তাই এ নিয়ে আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল। কিন্তু কেউ করেনি। তবে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। তার মধ্যে সিটি করপোরেশনের মধ্যে থাকা মহা সড়কের চারলেন বিশিষ্ঠ সড়কটি ছয় লেনে উন্নিত করা। এ জন্য ডিভাইডারটি তুলে দিতে হবে। এ জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহযোগীতা প্রয়োজন। কারন গড়িয়ারপার থেকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আমার সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ করবো। যেসব জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে, তা আমরাই করে দেবো। প্রয়োজনে সড়কের পাশে নির্মানাধিন আমার মায়ের নামে “শহীদ জননী“ সাহান আরা পার্কও ভেঙে ফেলা হবে। এ সড়কটি প্রশস্ত হলে এর সুফল নগরবাসীসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী পাবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সার্ভিস লেনসহ মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নিত করার চিন্তা-ভাবনা তখনই শুরু হয়। ইতি মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি এবং ডিজাইনও সম্পন্ন করা হয়েছে। চারলেন বিশিষ্ঠ সড়কটি গড়িয়ার পর থেকে বাইপাস হয়ে রুপাতলী দিতে যাবে। অর্থ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ফোরলেন নির্মান কাজ শুরু হবে। তা তিন চার বছরের আগে শুরু হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা। ফলে বর্তমানের মহাসড়কের বরিশাল নগরীর মধ্যে থাকা এই ১১কিলোমিটার সড়ক যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থেকে যাবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক আহম্মদ যুগবার্তাকে বলেন, বরিশাল শহরের ভেতরে থাকা মহাসড়কের অংশে যানবাহন নিভিগ্নে চলাচল করতে না পারলে নগরবাসীই ভোগান্তিতে পরবে। কারণ ওই সড়কের যানজট গোটা শহরেই ছড়িয়ে পরবে। ইতোমধ্যে সড়কটি প্রশস্তকরণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে মেয়র সাহেব বিভাগীয় প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে পৃথক ও সমন্বয়ে সভা করেছেন। এতে এই ১১কিলোমিটার সড়ক প্রসস্তকরনসহ বেশ কিছু সিধান্ত দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শেখ মো. সেলিম যুগবার্তাকে বলেন, বিআরটিএ এর হিসেব অনুযায়ী পদ্মা সেতু চালু দিন থেকে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে শুধু মাত্র একহাজারের বেশী নতুন বাস চলাচল করবে। এর বাহিরে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, ট্রাকসগ অন্যনান পন্যবাহী কয়েকহাজার গাড়ি চলাচল করবে। ফলে সড়কে যানচলাচলে চাপ তিন থেকে চারগুন বৃদ্ধি পাবে। সেই হিসেবে রাস্তার জায়গা কিন্তু তাৎক্ষণিক বাড়ছে না। ঈদের সময় এবারের দৃশ্যটা ভিন্নই হবে। আমরা কতদুর সমাল দিতে পারবো জানি না। তবে চেস্টা থাকবে। আমাদের ডেডিকেশনের কতটুকু পারবো তা জানি না, তবে মাঠে থাকবো। আমরা আপাতত গড়িয়ারপার থেকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় সাইড সোল্ডার বাড়ানো এবং তিনটি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগকে বলেছি।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বরিশাল অঞ্চল) এ কে এম আজাদ রহমান যুগবার্তাকে বলেন,বলেন ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সার্ভিস লেনসহ মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নিত করার যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি এবং ডিজাইনও সম্পন্ন করা হয়েছে। অর্থের যোগানের মধ্য দিয়ে যার কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের কাজ শুরু আগে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের যেসব জায়গাতে ট্রাফিক সৃষ্টি হয় সেগুলোকে শনাক্ত করা। সড়কের উপরে যেসব স্থানে হাট বাজার রয়েছে সেখানকার রাস্তার দুইপাশ প্রশস্ত করন। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে থাকা বাক সহজ করা। যেহেতু বাইপাস সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগবে তাই বরিশাল সিটিকরপোরেশনের মধ্যে থাকা মহাসড়কের অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী অতিদ্রুত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সিটি মেয়র সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।