ডেস্ক রিপোর্ট: কথায় আছে, একবার না পারিলে দেখ শতবার। তবে এই ব্যক্তি জেতায় আশায় নয়, হারার রেকর্ড গড়তে শতবার চেষ্টার পণ করেছেন। ইতোমধ্যে ৯৪ বার হেরেছেন তিনি। আরও ছয়বার হারার লক্ষ্য রয়েছে তার।
বিষয়টা একটু খোলাসা করা যাক। বলা হচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাসনুরাম আম্বেদকারির কথা। ৭৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ইচ্ছা ১০০ বার হারের রেকর্ডের। এজন্য উত্তরপ্রদেশের আগ্রার খেরাগড় আসন থেকে ৯৪ বার নির্বাচন করেছেন তিনি।
পেশায় দিনমজুর আম্বেদকারির কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি লিখতে পারেন তিনি।
আম্বেদকারি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
১৯৮৫ সাল থেকে আম্বেদকারি লোকসভা, রাজ্যসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এমনকি ১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদের জন্যও মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগ্রা ও ফতেহপুর সিক্রি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
তার সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড ৩৬ হাজার। ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফিরোজাবাদ আসন থেকে এই রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য উত্তর প্রদেশের রাজ্যসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন তিনি। স্ত্রী আর সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এরই মধ্যে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটও চাইছেন তিনি।
আম্বেদকারি বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে বলেন, আমি হেরে যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। বিজয়ী রাজনীতিবিদরা জনগণকে ভুলে যান। আমি ১০০ বার নির্বাচনে হারার রেকর্ড গড়তে চাই। আমরা প্রতিন্দ্বন্দ্বী কারা, সেই বিষয়টি আমি আমলে নেই না। বরং আমি যেসব ভোটার আম্বেদকারির আদর্শে বিশ্বাস করে তাদের বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার এজেন্ডা সবসময়ই নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন এবং সমাজের প্রান্তিকদের কল্যাণের।
আম্বেদকারি বলেন, ১৯৮৫ সালে আমাকে যখন নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় আমি বলেছিলাম আমার স্ত্রীও আমাকে ভোট দেবে না। আমি গভীরভাবে হতাশ ছিলাম এবং তারপর থেকে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাচ্ছি।-যুগান্তর