স্টাফ রিপোটার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সঙ্গে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে (৩০ নভেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সমঝোতার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত নবজাতক শিশুদের চক্ষু রোগ চিকিৎসা কেন্দ্র বা রেটিনোপ্যাথি অব প্রিমেচুরিটি (আরওপি) সেন্টারের কারিগরি সহায়তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরওপি সেন্টার থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে পাঁচটি চক্ষুসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান শিশুদের চক্ষু সুরক্ষায় একযোগে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, চাঁদপুর, রংপুর, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহের চক্ষু হাসপাতাল। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিশুদের চোখের ছবিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট বিএসএমএমইউতে প্রেরণ করলে তা যাচাই বাছাই করে চিকিৎসা সেবার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, ৩৫ সপ্তাহের পূর্বে নবজাতক শিশুর জন্ম হলে এবং ওজন ২ কেজির কম হলে শিশুর চোখে রেটিনোপ্যাথি অব প্রিমেচুরিটি ( ROP) হতে পারে।অপরিণত নবজাতক শিশু জন্মের ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা শিশুর চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। অন্যথায় শিশু চিরতরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য শিশুর চোখের যত্ন নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদ সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএমইউ’র পক্ষে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী , সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অরবিসের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডা. লুৎফুল হোসেন, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ মিলিয়ন শিশু জন্মগ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্তত ৪ লাখ শিশু অপরিণত বয়সে জন্ম নেয় এবং যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। এ সকল শিশুর আরওপি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা তাদের অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । এ যাবৎ অরবিসের সহায়তায় সারাদেশে ৬ টি আরওপি স্ক্রিনিং ও ট্রিটমেন্ট সেন্টার ও একটি আরওপি রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।