Home রাজনীতি ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা বাতিল করেছে: মির্জা ফকরুল

৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা বাতিল করেছে: মির্জা ফকরুল

51

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,দেশে অস্থিতিশীলতার জন্য ১/১১ হলো। তখন তাদের বড় বড় শ্লোগান ছিলো মাইনাস টু। আসলে এটা ছিলো মাইনাস ডেমোক্রেসি- গণতন্ত্রকে দূরে রাখো, নিয়ন্ত্রিত একটা শাসন ব্যবস্থা এখানে পরিচালনা করো। সেই একই সূত্র থেকে একই ষড়যন্ত্র থেকে একই চক্রান্ত থেকে পরবর্তিকালে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করলো আওয়ামী লীগ। এটা আমাদের বুঝতে হবে।৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা বাতিল করেছে।আজ রবিবার বিকালে গুলশানে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এটা হঠাত করে বাতিল করেছে তা নয়। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেছে যে, আওয়ামী লীগকে কিভাবে তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা যায়। এটা হচ্ছে তাদের একটা পরিকল্পনা একটা ব্লু প্রিন্ট।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা(তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) কোনো বিএনপির কথা নয় বা আওয়ামী লীগের কথা নয়, এটা এই জাতির ভবিষ্যতের জন্য, এই জাতিকে সত্যিকার অর্থে একটা স্টেবল পলিটিক্যাল স্টাকচার দেওয়ার জন্য, একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক কাঠামো সৃষ্টি করার জন্য। এখানে একজন বক্তা বলেছেন, আসলে এই দেশকে কিভাবে সত্যিকার অর্থে একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন?

‘‘আপনার যদি কাঠামো ঠিক না থাকে, আপনার যদি সেই স্টাকচারটা না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে সেখানে পৌঁছাবেন। এটার জন্যই আমাদের নেত্রী, যাকে আমরা গণতন্ত্রের মাতা বলি, যাকে আমরা আপোষহীন নেত্রী বলি, যিনি কারাগারে আছে, যিনি এখন গৃহবন্দি হয়ে আছেন তিনি কিন্তু যেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হলো পার্লামেন্টে সেইদিনই তিনি প্রেস কনফারেন্সে করে বলেছিলেন যে, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে চিরস্থায়ীভাবে একটা অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলো, স্টেবেলিটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেলো।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। আমি একটা কথা বলাতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। সেটা হচ্ছে যে, আমি বলেছিলাম পাকিস্তান আমলেও এতো অত্যাচার নির্যাতন হয়নি। আমাকে ওরা পাকিস্তানের চর-টর বানিয়ে দিলো। ওরা জিয়াউর রহমান সাহেবকে পাকিস্তানের চর বলে, আমি তো কোনো ছার, যিনি স্বাধীনতার যুদ্ধ ঘোষণা করলেন তাকেই তো তারা পাকিস্তানের চর বলেন, আমি তো ক্ষুদ্র মানুষ।

বিকালে গুলশানের ‘সিক্স সিজন’ হোটেলে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।এই আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরাম’ নামে গবেষণামূলক এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম জর্জ এবং মহাসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলভী।

সংগঠনের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম জর্জের সভাপতিত্বে ও উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, জহুরুল ইসলাম বাবু, পাবনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আরশেদ আলম, সচেতন নাগরিক ফোরামের এজেডএম মোরশেদ আল মামুন লিটন, আশরাফুর রহমান, এএইচ আবরার ফাহিম, আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী প্র্রমূখ ।