Home জাতীয় ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করার দাবি...

২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে জি-স্কপ

10

স্টাফ রিপোটার: ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, মজুরি আন্দোলনে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধ, ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ ২২শে মার্চ সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ( জি-স্কপ) এর উদ্যোগে সমবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জি-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল এর সভাপতিত্বে ও জি-স্কপ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জি-স্কপের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কামরুল আহসান, আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বুলবুল, রুহুল আমিন, সাইফুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, জি-স্কপ গাজীপুর জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক মাসুদ মন্ডল, মিরপুর অঞ্চলের যুগ্ম সমন্বয়ক শিরিন সুলতানা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জি-স্কপের নেতা সেলিম মাহমুদ, আব্দুস সালাম।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছরই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ২০ রোজার মধ্যেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানানো হয়। কিন্তু মালিকপক্ষের একটি অংশ সেটা পরিশোধ নিয়ে প্রতিবারই সময়ক্ষেপন করে, এবং বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস এর পরিবর্তে বেতনের টাকা কমিয়ে ও বোনাসের নামে বকশিশ নামক একটা কিছু দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা তৈরি করে। এই প্রেক্ষিতে বকেয়া বেতন ও বোনাস নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি থাকা জরুরী। কিন্তু গত ২০ মার্চ মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধে সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা ছাড়া সাধারণভাবে ঈদের আগে পরিশোধ করার করার কথা বলা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে মালিকপক্ষকে সময়ক্ষেপন করার ও বেতন বোনাস নিয়ে তালবাহানা করার সুযোগ করে দেয়া হলো। নেতৃবৃন্দ, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সুনিধিষ্ট সময় বেঁধে না দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের কোন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা হয়নি। অথচ মজুরি আন্দোলনে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারন শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ১২৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করলেও সে নূন্যতম মজুরি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে, গ্রেডে ফাঁকি দিচ্ছে, এর প্রতিবাদ করলে শ্রমিক ছাটাই, নির্যাতন ও মামলার হুমকিতে ফেলছে শ্রমিকদের।
নেতৃবৃন্দ শ্রমিক ছাটাই, দমন – নির্যাতন বন্ধ করে ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করতে সরকার ও মালিকপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। অন্যথায় এ নিয়ে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায়- দায়িত্ব সরকার ও মালিপক্ষকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব- তোপখানা রোড হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।