Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ১৫% কর প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

১৫% কর প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

44

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজধানীর ধানমন্ডি ড্যাফডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর প্রস্তাবিত ১৫% কর প্রত্যাহার সহ ৬ দফা দাবিতে “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” আজ সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

“নো ভ্যাট অন এডুকেশন” সংগঠক মুক্ত রেদোয়ানের সভাপতিত্বে ও “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” সংগঠক শাওন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ২০১৫ সালের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সোহান তাসনিমা,”নো ভ্যাট অন এডুকেশন” সংগঠক শাহরিয়ার অপূর্ব, মোঃ রাকিব হাসান সুজন, প্রিতম ফকির, সালমান রাহাতসহ প্রমুখ। সঞ্চালনা কালে ” নো ভ্যাট অন এডুকেশন” সংগঠক শাওন বিশ্বাস বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের অগ্রজরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সংকট নিরসন, বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্হা প্রণয়ন ও ছাত্র স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” প্লার্টফমটি গঠন করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উপর প্রস্তাবিত ১৫% কর প্রত্যাখান করছি। ২০১৫ সালে সরাসরি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট প্রদানের কথা বলা হয়েছিলো। এবারো বেসরকারি শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে করের টাকা আদায়ের পায়তারা চালানো হচ্ছে। যা শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নীল নকশা। সমাপণী বক্তব্যে “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” সংগঠক মুক্ত রেজোয়ান বলেন,বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্হাকে পণ্যে রূপান্তর করার যে অপচেষ্টা তা রুখে দিয়ে ২০১৫ সালে সরকারকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলাম। এবারো পূর্বের মতোই আমরা বলতে চাই, শুধু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় যেখানেই শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নূন্যতম চেষ্টা চলবে সেখানেই “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে ” বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যদি তাই হয় তবে কি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মালিক পক্ষ মুনাফা অর্জন করে? ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বলা চলে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিক পক্ষ যে মুনাফা অর্জন করছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ। গতকালের প্রস্তাবিত ১৫% করের মাধ্যমে সরকার ঐ অবৈধ মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অবৈধ মুনাফাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষাখাতে প্রস্তাবিত বাজেট বিগত বাজেটের মোট জিডিপির তুলনায় ০.০৩৬% কমেছে। এই বাজেট কোনভাবেই শিক্ষাবান্ধব বাজেট হতে পারেনা ৷