Home জাতীয় হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

34

স্টাফ রিপোটার: অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার ( ১৩ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন এ দণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। এ ছাড়া হাফিজ মারা গেছেন।

রায়ে বিচারক বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তাদের এ জঘন্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি যেদিন গ্রেপ্তার হবেন বা আত্মসমর্পণ করবেন সেদিন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামিরা অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। সে সময় তিনি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠছিলেন।

হামলার পর হুমায়ুন আজাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককে পাঠানো হয় এবং ৪৭ দিন পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।

হামলার ১ দিন পর তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। হামলার ৩ বছর পর ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত হমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবিরের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুনঃতদন্তের পর সিআইডি ৫ জেএমবি নেতাকে অভিযুক্ত করে একটি নতুন চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল এটিকে হত্যা মামলায় পরিণত করতে আদালতে আবেদন করা হয়।