Home রাজনীতি হিরো আলম হারেনি, হেরেছে গণতন্ত্র হেরেছে দেশের জনগণ : আজম খান

হিরো আলম হারেনি, হেরেছে গণতন্ত্র হেরেছে দেশের জনগণ : আজম খান

52

স্টাফ রিপোটার: হিরো আলমকে হারাতে পারেনি সরকার। হেরেছে গণতন্ত্র, হেরেছে দেশের জনগন মন্তব্য ক‌রে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী কোন লজ্জায় সংসদে বসবেন? বসতে পারেন কারণ এই সংসদ রাতের ভোটের নির্বাচনের সংসদ।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফরমের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা শহীদ সজিব হোসেন হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আযম খান বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় সরকারের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে কৃষকদলের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে অথচ বিএনপি’র ১৭ হাজার নেতা কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে কেন? এ স্বাধীন দেশে শকুনের মত হামলা কেন? বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর সরকারের শকুনের চোখ পড়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত আবারো একটি নির্বাচন করতে চায় সরকার।‌ কিন্তু তা‌দের চক্রান্ত সফল হ‌বে না।

‌তি‌নি ব‌লেন, ১৭ জুলাই ঢাকা ১৭ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন সম্পর্কে সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন সেখানে ফলস ভোট হয়েছে। ফাতেমা নামের একজন বলেছেন আমি চল্লিশ ভোট দিয়েছি আরো ভোট দিতে বলে। হিরো আলমকে হারাতে পারেনি সরকার। হেরেছে গণতন্ত্র, হেরেছে দেশের জনগন। ফলস ভোট বাদ দি‌লে ওই নির্বাচনের ৬% ভোট পড়েছে। তার মধ্যে হিরো আলম পেয়েছেন ৩% ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছে দুই থেকে আড়াই পার্সেন্ট ভোট। কোন লজ্জায় তিনি সংসদে বসবেন?বসতে পারেন কারণ এই সংসদ রাতের ভোটের নির্বাচনের সংসদ। বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ তো শুয়োরের খোয়ার পরিণত হয়েছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত কয়েক মাসে বিএনপির ১৯ জনকে হত্যা করেছেন। গত দশ বছরে লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। আন্দোলন থামা‌তে পেরেছেন? দিন দিন রাজপথে নেতাকর্মীরা বাড়ছে। যত জুলুম নির্যাতন মামলা হামলা খুন করেন না কেন আমাদের আন্দোলন দমাতে পারবেন না। আপনাকে পদত্যাগ বাধ্য করা হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিশ্বব্যাপী আজ প্রত্যাখাত, গলাবাজি দিয়ে সরকারের অবৈধ স্বত্তাকে সুরক্ষা দেয়া যাবে না। এবারে আওয়ামী লীগের তরী ডুবন্ত, এটিকে আর টেনে তোলা যাবে না। ক্ষমতা ধরে রাখার আর কোন কৌশল তাদের কাজে আসবে না।

তিনি বলেন, কথা পরিষ্কার আগামী নির্বাচন নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়, এটিই বাংলাদেশের জনগণের ভাষা। এবার এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই সময় থাকতে এই ফ্যাসিবাদী সরকার সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এটা জনগণের দাবী।

সভাপ‌তির বক্তব‌্য মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ব‌লেন, আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের পক্ষে জনগণের রায় ঘোষিত হয়েছে এই এক দফার দাবির
কর্মসূচিতে। পদযাত্রায় বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো সর্বস্তরের মানুষের সমাগম ঘটে। এই পদযাত্রার বিশাল পরিসর দেখে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মানসিক অসুস্থ রোগীর মতো সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আচরণ করছেন। এই কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীতে সহিংস হানাহানি ও কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে লক্ষীপুরে কৃষকদল নেতা সজীব হো‌সে‌নের। সারাদেশে গুলি এবং অস্ত্রের আঘাতে জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

বাংলাদেশ ইয়ুধ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আর বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ( ভিপি হারুন), কৃষকদ‌লের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক সাহা আব্দুল আল বাকি, যুব জাগপার সভাপ‌তি মীর আ‌মির হো‌সেন আমু, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জো‌টের সহকারী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।