ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছরে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ। সেই খুতবার বাংলা অনুবাদের দায়িত্ব পালন করেছেন মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা হাজিদের সঙ্গে আরাফাত প্রাঙ্গণে অবস্থান করে অনুবাদের কাজটি করেছেন। খবর আমাদের সময়.কম

এ ছাড়াও আরো যে ১৯ ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হয় সেগুলো হলো- ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো ও জার্মান।
পুরো কাজটির তত্ত্বাবধানে থাকবে মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোবাইল বা কম্পিউটার মানারাতুল হারামাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যেকোনো ভাষা সিলেক্ট করলে সে ভাষায় খুতবার অনুবাদ শোনা যায়। আল কোরআন চ্যানেল ও আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারেও এবারের খুতবা শোনা যায়।
বাংলাদেশের যে চার আলেম হজের খুতবা বাংলায় সম্প্রচারের দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের মধ্যে মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কীর বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত। প্রায়ই তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবার অনুবাদ করে থাকেন।

ড. খলীলুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। তিনি সম্প্রতি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। অনুবাদক মুবিনুর রহমান ফারুকের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। তিনি উম্মুল কুরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন। অপর অনুবাদক নাজমুস সাকিব মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। সেদিন তাদের উদ্দেশ্যে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেওয়া হয়।