চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত চার শতাধিক।শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫ ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর ভেতরে ধ্বংসস্তুপ থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মধ্যে একজন ফায়ার ফাইটার রয়েছে। তবে তাদের নাম–পরিচয় কিছু জানা যায়নি। লাশ দুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৩জনের নাপরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন: ডিপোর আইসিটি কাউন্টারে কতর্ব্যরত মবিনুল হক, মহিউদ্দিন (২৪) ও হাবিবুর রহমান (২৩)। এদের মধ্যে মবিনুল ও মহিউদ্দিন বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। হাবিবুরের বাড়ি ভোলায়।
জানাগেছে, কনটেইনার ডিপোতে আমদানি ও রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার আছে । ক্যামিকেলের কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক সংগঠন ‘জনলোকের চট্টগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী রহিম খান জানিয়েছেন , হাসপাতালগুলোতে আমরা সেচ্ছাসেবীরা সহায়তার চেষ্টা করছি। কিন্তু, পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে।
এই ঘটনার পরে হতাহতদের সহায়তা করা স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বাস্থ্য কর্মী খোকন জানান, অবস্থা খুবই ভয়াবহ অবস্থা। আহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। যা সংগ্রহ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে।
