Home সারাদেশ সিসিক নির্বাচন: শেষ প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

সিসিক নির্বাচন: শেষ প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

34

সৈয়দ রাসেল আহমদ,সিলেট অফিস:আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর নিরব হয়ে যাবে সিলেট সিটি। থাকবে না গানবাজনা স্লোগান মাইকিং ও মিছিল। তাই অন্তীম সময়ে গানবাজনা ও প্রচারণার তালে তালে উদ্বেলিত নগরবাসী।

সোমবার মধ্যরাত থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা শেষ। ভোটগ্রহণের আর মাত্র এক দিন বাকি।

সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হবে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা। ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৪২টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে। এছাড়া এর বাহিরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টি টিম কাজ করবে। যাদের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমের সাথে ১ প্লাটুন বিজিবি থাকেবে। ১৯ তারিখের পরের ৩ দিন তারা মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।

সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এছাড়া দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এর মধ্যে জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণায় সরব নয়। ভিন্ন কৌশলে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। তাই ভোটের মাঠে এখন আনোয়ারুজ্জামান বনাম বাবুলের স্লোগান ও জয়গান।

আর কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগে ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন।

২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।