Home রাজনীতি সিপিবির বাজেট আলোচনা: এবারেও বাজেট দারিদ্র্য, বৈষম্য-লুটপাট ও দুঃশাসনের দলিল

সিপিবির বাজেট আলোচনা: এবারেও বাজেট দারিদ্র্য, বৈষম্য-লুটপাট ও দুঃশাসনের দলিল

44

স্টাফ রিপোটার: রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিবছর সরকার যে বাজেট দেয় তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চলতি নীতিমালারই প্রতিফলন ঘটে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রণীত প্রথম বাজেটে সমাজতন্ত্রের প্রভাবে সমতাধর্মী উন্নয়ন দিশা অনুসরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তী কাল পর্ব থেকে সেই পথ বিচ্যূত হয়ে ক্ষমতাসীন সকল রাজনৈতিক দল তথা শাসক শ্রেণি পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির দিকে দেশকে পরিচালিত করে। এর ফলে দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাট-দুর্নীতি ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ত্বরান্বিত হয়, যা বর্তমানে চরম রূপ নিয়েছে। তাই অতীতের মতো এবারের বাজেটও দারিদ্র্য ও দুঃশাসনের দলিল। ৪ জুন শনিবার বিকেলে কমরেড মণিসিংহ সড়কে অবস্থিত মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘আগামী বাজেট : বৈষম্য ও দুঃশাসনের পুঁজিবাদ’ শীর্ষক এই বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ্ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। শুরুতেই প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ। মূল আলোচক রূপে আলোচনায় অংশ নেন সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমিন্দ নীলোর্মি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহীন রহমান।
বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের নীতি হলো ‘ঋণ করে ঘি খাও’ আর জনগণের ওপর এর দায় চাপাও। ফলে ঋণ পরিশোধের জন্য জনগণের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানা নিপীড়নমূলক করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈধ করার মাধ্যমে কালো টাকার দাপট আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশে সম্পদ পাচারের ধারাও অব্যাহত থাকবে। তাই বরাবরের মতো এবারের বাজেট সাধারণ মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়নি। বরং ধনী, সম্পদশালী, ক্ষমতাবান ও লুটেরাদের প্রতি শ্রেণি-পক্ষপাত প্রদর্শন করেছে।