ডেস্ক রিপোর্ট: চীন থেকে সিনোফার্মের ছয় লাখ ডোজ করোনার টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে।রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার বিমানবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজে করে এই টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এর আগে ১২ মে আরও পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল চীন। এ নিয়ে মোট ১১ লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে চীন।
চীনা দূতাবাস থেকে জানানো হয়, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। বাংলাদেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্ধু দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ফাইজারের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। এই টিকা শুধু ঢাকা মহানগরীতেই দেওয়া হবে। পরিবহন ও সংরক্ষণের কথা চিন্তা করে ফাইজারের টিকা ঢাকা মহানগরীতেই দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের যে ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছি তা এখনই প্রয়োগ শুরু করতে পারছি না।এই টিকায় ডাইলুয়েন্ট নামের মিশ্রণ মেশাতে হবে। সেই মিশ্রণ গত সোমবার রাতে আসার কথা থাকলেও আসেনি। ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণ ছাড়া ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যায় না। এর জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেটি দেশে এলে ফাইজারের টিকা কত তারিখ থেকে দেওয়া যাবে তা জানানো হবে।
চীনের সিনোর্ফামের টিকা কারা পাবে বা কবে নাগাত শুরু এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।