স্টাফ রিপোটার: সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নিজ নামে ইতোপূর্বে রাজউক হতে উত্তরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্ধ প্রাপ্ত হন্। পরবর্তীতে, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতা অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয়ে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে প্লটের জন্য আবেদন করান এবং ৩ কাঠার একটি প্লট বরাদ্ধ করান। অত:পর তিনি তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উক্ত তিন কাঠার প্লটটিকে ৫ কাঠার প্লটে উন্নীত করান। অত:পর পুনরায় নিজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে প্লট স্থানান্তর করে উত্তরার সেক্টর-৪, রোড নং-৬, বাড়ী নং-১/এ প্লটটি রাজউক থেকে অনুমোদন করান। জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই উক্ত প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে উক্ত প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করেন।
জানাগেছে, অনুসন্ধানকালে প্রকৌশলীর প্রতিবেদন অনুযায়ী উত্তরা আবাসিক এলাকায় সেক্টর-৪, রোড নং-৬, বাড়ী নং-১/এ’ ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৬,৩১,০৫,৮৬৫/- টাকা। এছাড়া, উক্ত প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউক এ পরিশোধ করা হয় ৭৫,০০,০০০/- টাকা। সে হিসেবে প্লটের মূল্যসহ ভবন নিমার্ণে মোট ব্যয় (৬,৩১,০৫,৮৬৫/- + ৭৫,০০,০০০/-) = ৭,০৬,০৫,৮৬৫/- টাকা। উক্ত সম্পদের মধ্যে কেবল জনৈক খালেদা চৌধুরী এর নিকট থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রীম বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা প্রাপ্ত হয়েছেন। উক্ত টাকা বাদে অবশিষ্ট ৬,৩৬,০৫,৮৬৫/- টাকা এবং জনাব শংখজিত সিংহ এর নামীয় হিসাবে স্থায়ী ও নগদে জমা আছে ৭৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ (৬,৩৬,০৫,৮৬৫/-+ ৭৮,০০,০০০)= ৭,১৪,০৫,৮৬৫/- টাকার (সাত কোটি চৌদ্দ লক্ষ পাচ হাজার আটশত পয়ছট্টি টাকা) সম্পদ জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে নিজ ভাই ও নিজের আত্মীয়দের নামে বেনামে অর্জন করেছেন, যার কোন বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ ও উক্ত সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্থান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা; ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় কমিশন কতৃক তার বিরুদ্ধে উক্ত ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দেন এবং দুদকের উপপরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।