Home রাজনীতি সাধারণ মানুষের কণ্ঠ চেপে ধরা হচ্ছে : যুব ইউনিয়ন

সাধারণ মানুষের কণ্ঠ চেপে ধরা হচ্ছে : যুব ইউনিয়ন

628

যুব ইউনিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোটার: বর্তমানে দেশে চলছে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন। সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর চেপে ধরার চেষ্টা চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে তারা মানুষের কণ্ঠ রোধ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ধারবাহিকভাবে হামলা-মামলা করে কণ্ঠ রোধ করেছে।
আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার, রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। উন্ননের নামে লুটপাট করেছে। কারণ তাদের কাজ হচ্ছে উন্নয়নের নাম করে অর্থ হাতানো। দেশের কোটি যুবক বেকার তাতে কিছু যায় আসে না। তাদের কাজ হচ্ছে নিজেদের কোষাগার ভর্তি করা। আজকে সময় এসেছে এই রাজনীতিকে প্রত্যাখান করে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে জোরদার করা।
তিনি আরও বলেন, আজও দেশের ১ কোটি ১০ লাখ প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক, ২ কোটি ৩০ লাখ কৃষি শ্রমিক এবং আরও প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ অন্যান্য পেশার শ্রমজীবী মানুষের কারো জন্যই, রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক, সামাজিক বা স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে জনজীবনের সংকট আরো তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের বিপুল কর্মহীন যুবকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই।
যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বলেন, সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের আওয়াজ দিয়ে সরকার তার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে। কর্মসংস্থানের অভাবে হাজারো যুবক জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের পরিচয়, সুপারিশ ও নগদ টাকা ছাড়া এখন চাকরি হয় না। দলীয়করণ লুটপাটের মাত্রা ছাড়িয়েছে। গণতন্ত্র আজ ব্যক্তি এবং দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে চলছে সরকারি ছাত্র ও যুব সংগঠনের বেপরোয়া সন্ত্রাস। এভাবে চলতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।
এর আগে পুরানা পল্টন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি দৈনিক বাংলা, গুলিস্থানসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।