Home জাতীয় সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল কেন্দ্রে সাজাপ্রাপ্ত কেয়ার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি।

সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল কেন্দ্রে সাজাপ্রাপ্ত কেয়ার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি।

46

শ্যামল বিশ্বাস সাতক্ষীরা থেকে: সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কেয়া রানী বসু নামে আশাশুনির এক পরীক্ষার্থীকে স্মার্ট ফোন সহ আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম তারেক সুলতান।
জানাগেছে, শুক্রবার (৩ জুন) সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রসহ সাতক্ষীরার অন্যান্য কেন্দ্রে আশাশুনি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মার্ট ফোনসহ পরীক্ষার্থী কেয়া রানী বসুকে আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দ্র সচিব, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কাছে থাকা স্মার্টফোনে অন্যত্র যোগাযোগের অপরাধে পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ১০৭নং রুম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম তারেক সুলতান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাকে ১০দিনের কারাদণ্ড দেন।কেয়া রানী বসু আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্ৰামের রবিন্দ্রনাথ দে’র স্ত্রী।
জানা গেছে, কেয়া রানী বসুর স্বামী রবিন্দ্রনাথ দে সাবেক প্রত্রিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপিকে দাদা শ্বশুর পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের থেকে চাকরী দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম জানান, রবিন্দ্রনাথ দে বেউলা গ্ৰামের স্বজলসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও জানান, ৫ বার এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পরেও রবিন স্বাস্থ্য বিভাগে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছে। তার মামা ৪ বার আইডি কার্ডের বয়স পরিবর্তন করে ১৪বছর বয়স কমিয়ে বহাল তবিয়তে কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরী করে যাচ্ছে। বয়স কমাতে গিয়ে এত বেশি কমিয়ে ফেলেছে যে, এখন ছোট ভাই বড় ভাই এবং বড় ভাই ছোট হয়ে গেছে। উপজেলা প্রাথমিক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় এসব অফিসে সে সব সময় অসম্ভবকে সম্ভব করে। রবিন্দ্রনাথ দে দিনাজপুর মেডিকেলের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ই পি আই পদে চাকরিরত থাকলেও প্রায়ই তাকে এলাকায় থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে কেয়া রানী বসুর স্বামী রবিন্দ্রনাথ দে জানান, রাজদণ্ড কপালে ছিলো তাই হয়েছে। আমার আর কিছু বলার নেই।
ডিপিও মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বললে দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম তারেক সুলতান প্রতিবেদককে জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্মার্ট মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে বাহিরে যোগাযোগ করা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১০দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। এ চক্রের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে সেহেতু কর্তৃপক্ষ চাইলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে পারবেন।
এদিকে, পল্লীমঙ্গল স্কুল কেন্দ্রে সাজাপ্রাপ্ত কেয়ার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।