Home জাতীয় সরাইলে চাঁদা না দেয়ায় বৃদ্ধাকে মারধর, তদন্ত নিয়ে পুলিশের গড়িমশির অভিযোগ

সরাইলে চাঁদা না দেয়ায় বৃদ্ধাকে মারধর, তদন্ত নিয়ে পুলিশের গড়িমশির অভিযোগ

31

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নাথপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের দাবী করা ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় বৃদ্ধা নাছিমা বেগম (৫২)কে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার এখনো কোনো কূল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। হামলার ঘটনায় কালীকচ্ছ নাথপাড়া এলাকার মৃত জলফু মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া ও তার ভাই পলাশসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত সরাইলের পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। গত দুই মাসেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি সরাইল থানার পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি প্রতিনিয়ত আসামীদের হুমকী-ধামকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হামলার শিকার ওই পরিবার এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ১/ দেড় বছর আগে নাছিমা বেগমের প্রবাসী ভাই রতন মিয়া নাথ পাড়ায় একটি জায়গা ক্রয় করেন। তবে তিনি প্রবাসে থাকায় বোন নাছিমা বেগম সম্প্রতি সেই স্থানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে দেখভাল করে আসছিলেন। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামী রবিন মিয়া নাছিমা বেগমের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবী করতে থাকে। এক পর্যায়ে রবিন ও তার ভাই পলাশসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা নাছিমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৪ এপ্রিল রবিন, পলাশসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে নাছিমাকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বেগম বাদী হয়ে ২৮ এপ্রিল আদালতে চাঁদাবাজী মামলা করেন। আদালত বিষয়টির তদন্তভার সরাইল থানাকে দেয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয় কালীকচ্ছ নাথ পাড়া এলাকার মৃত জলফু মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া ও তার ভাই পলাশসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে।
নাছিমা বেগম জানান, হামলার ঘটনায় মামলা করার পর সরাইল থানা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে স্বাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়েছে। এখন অদৃশ্য কারণে ঘটনা ও তদন্তের প্রায় দুই মাস পার হলেও তিনি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দিচ্ছেন না। টালবাহানায় সময় ক্ষেপন করছেন। এতে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে পরিবারের সদস্যসহ স্বাক্ষীদের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেনা না। আমাদেরকে সন্ত্রাসী কর্তৃক হুমকীর বিষয়টি ভিডিও ধারণে করতে বলে থাকেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, ঘটনা যাই ঘটেছে তার তদন্ত চলছে। তদন্তে কোন প্রকার ঢিলেঢালাভাব কিংবা কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি কোর্ট পিটিশন। তদন্তকারী কর্মকর্তা যথা সময়ে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবে।